Advertisement
Advertisement

Breaking News

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে লাগাতার যৌন হেনস্তা, গ্রেপ্তার প্রধানশিক্ষক

জি ডি বিড়লার ছায়া...

Odisha: class 6 student sexuallu harrased, headmaster arrested
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 13, 2017 3:13 am
  • Updated:September 19, 2019 6:03 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি ডি বিড়লার ছায়া পড়ল ওড়িশার এক স্কুলে। ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে লাগাতার যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠল স্কুলেরই প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে। জানতে পেরে বিক্ষোভে উত্তাল হন অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। চলে বেধড়ক মারধর। পরে গ্রেপ্তার করা হয় ওই শিক্ষককে।

দিনকয়েক আগেই বাংলায় জি ডি বিড়লা স্কুলে এক দুধের শিশুকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল দুই পিটি টিচারের বিরুদ্ধে। একই রকম অভিযোগ ছিল এম পি বিড়লা স্কুলের ক্ষেত্রেও। লাগাতার চলে অভিভাবকদের বিক্ষোভ কর্মসূচি। শেষমেশ সরিয়ে দেওয়া হয় জি ডি বিড়লার অধ্যক্ষাকে। অনুরূপ ঘটনার ছায়া পড়ল ওড়িশার এক স্কুলেও। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এক ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে লাগাতার যৌন হেনস্তা করে চলেছিলেন স্কুলেরই প্রধানশিক্ষক। পড়ানোর ছলেই তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন শিক্ষক। হাত দিতেন শরীরের আপত্তিকর জায়গায়। প্রথমদিকে গুরুত্ব না দিলেও ক্রমাগত হেনস্তার মাত্রা বাড়তে থাকে। প্রায় মাসখানেক পরে এ ব্যাপারে বাড়িতে জানায় ওই ছাত্রী। তারপরই অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা চড়াও হয় স্কুলে। হাতের সামনে প্রধানশিক্ষককে পেয়ে চলে বেধড়ক মারধর। খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও। যৌন হেনস্তার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই শিক্ষককে।

Advertisement

ময়ূরভঞ্জের ডিএসপি ভিকে প্যাটেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। জানিয়েছেন, প্রায় মাসখানের ধরেই হেনস্তার শিকার ওই ছাত্রী। অনেক পরে পুরো বিষয়টি অভিভাবকদের গোচরে আসে। তারপরই বিক্ষোভ শুরু হয়। শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে মামলাও রুজু করা হয়েছে।

কী করে ঘটনা প্রকাশ্যে আসে? জানা যাচ্ছে, মাসখানেক ধরে হেনস্তার শিকার হলেও প্রথম দিকে মুখ বুজেই ছিল ছাত্রীটি। কিন্তু সহ্যের সীমা ছাড়ানোয় সে স্কুলে যেতে অস্বীকার করে। পরপর বেশ কয়েকদিন স্কুলে যেতে না চাওয়ায় অভিভাবকদের সন্দেহ হয়। তাকে প্রশ্ন করায়, সে প্রধানশিক্ষকের কুকীর্তি ফাঁস করে। এরপরই উত্তেজিত গ্রামবাসীরা স্কুলে পৌঁছান। খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করতে থাকেন ওই শিক্ষককে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগেও এ ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। পুনরাবৃত্তি হওয়ায় ক্ষোভ বাঁধ ভাঙে অভিভাবকদের। শেষমেশ পুলিশ এসে শিক্ষককে উদ্ধার করেন। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকারই করেছেন শিক্ষক। জানিয়েছেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর দাবি, দোষ প্রমাণিত হলে তিনি মৃত্যু বরণ করতেও রাজি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ