সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বলে ব্যুমেরাং! এককালে মনমোহন সিংয়ের নীরবতা নিয়ে বেজায় সরব ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই তিরেই মোদিকে বিঁধলেন স্বয়ং মনমোহন সিং। কাঠুয়া ও উন্নাও প্রসঙ্গে ‘অ্যাকসিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’-এর বক্তব্য, এবার মোদিও বেশি বেশি কথা বলুন। নিজের উপদেশ নিজেই অন্তত মেনে চলুন উনি।
[ সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ল বরযাত্রী বোঝাই বাস, মৃত অন্তত ২১ ]
‘ইউপিএ ২’-এর আমলে বিভিন্ন ইস্যুতে মনমোহনকে কোণঠাসা করতে শুরু করেন মোদি। সে সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যত নীরব থেকেছেন মনমোহন, তত সুর চড়িয়েছেন মোদি। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর রূপরেখা ততদিনে প্রায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ফলে তর্জন-গর্জন কম ছিল না। সময় গড়িয়েছে। এখন কাঠুয়ার মতো ধর্ষণ কাণ্ডে বিবৃতি দিতে নরেন্দ্র মোদি কেন দেরি করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এমনকী সংবাদমাধ্যম এ নিয়ে যখন ফাঁকা রিপোর্ট প্রকাশ করে তখন তা হাজার হাজার শেয়ার হয়। বোঝা যায়, সাধারণ মানুষেরই মনের কথা একই। এবার এই প্রসঙ্গ তুলেই মোদিকে খোঁচা দিলেন মনমোহন। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, “সংবাদমাধ্যমেই দেখেছি একসময় উনি আমাকে বেশি কথা বলার উপদেশ দিতেন। সে কথা এখন ওঁর মনে রাখা উচিত। অন্তত উনি নিজে তো নিজের উপদেশ মেনে চলুন। উন্নাও ও কাঠুয়া নিয়ে বেশি করে কথা বলুন।” প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দাবি, কাঠুয়া নিয়ে অনেক আগেই কথা বলা উচিত ছিল মোদির। নেতৃত্বে যাঁরা থাকেন, তাঁদের আগেই সরব হতে হয়। মোদি দেরিতে মুখ খোলার ফলেই লোকের মনে ধন্দ দেখা দিয়েছে। দোষীরা আদৌ শাস্তি পাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি মুফতি সরকারেরও সমালোচনা শোনা যায় তাঁর মুখে। মনমোহনের মতে মুফতি এই পরিস্থিতি আরও দক্ষতার সঙ্গে সামলাতে পারতেন বা তাই-ই করা তাঁর উচিত ছিল। আইন শৃঙ্খলা রক্ষা রাজ্যেরই দায়িত্ব। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিরও সমালোচনা করেন মনমোহন। জানান, অন্ধ হয়ে থাকার ফলেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।
[ হলমার্ক গহনা কিনে ঠকলে কড়া ব্যবস্থা, জানালেন বিআইএস কর্তা ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.