Advertisement
Advertisement

Breaking News

হাসপাতালের বেডে বসেই মাধ্যমিক অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকার, বেনজির ঘটনা জামালপুরে

ঘটনায় শোরগোল প্রশাসনিক মহলে।

Pregnant minor girl appears for Madhyamik in Burdwan
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 15, 2018 11:08 am
  • Updated:August 30, 2019 3:40 pm

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: কন্যাশ্রীরা নাবালিকার বিয়ে আটকাল। আর সেই দিনই আর এক অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের বেডে বসে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল। এমনই বেনজির ঘটনার সাক্ষী রইল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর।

বুধবার জামালপুরের বড়টিকরা গ্রামের এক নাবালিকার বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। ওই নাবালিকা অমরপুর গার্লস হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তার বিয়ের ঠিক হয়েছিল জামালপুরের দাসপুর গ্রামে। স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যদের মাধ্যমে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পারেন। স্কুলের তরফে ঘটনার কথা জানানো হয় জামালপুর বিডিও দপ্তরে। খবর পেয়েই বিডিও দপ্তরের কর্মীরা হাজির হন নাবালিকার বাড়িতে। তাঁরা বিয়ে বন্ধ করে দেন। নাবালিকার বাবা মুচলেকা দিয়েছেন মেয়ের উপযুক্ত বয়স না হলে বিয়ে দেবেন না।

Advertisement

[বিয়ের আসর থেকে উদ্ধার নাবালিকা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠাল পুলিশ]

Advertisement

আর এদিনই জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বেডে বসে ভূগোল পরীক্ষা দিল এক নাবালিকা ছাত্রী। জামালপুরের শুড়েকালীতলা হাইস্কুলের সেন্টারে এদিন পরীক্ষা দিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই পরীক্ষা দিয়েছে ওই ছাত্রী। ওই ছাত্রীর বাপের বাড়ি জামালপুরের মণিরামবাটিতে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আনন্দমোহন গড়াই জানান, ওই পরীক্ষার্থী অন্তঃসত্ত্বা। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। টেনশনের কারণেই অসুস্থতা বলে জানিয়েছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। বিডিও সুব্রত মল্লিক জানান, আ্যাডমিট কার্ডের বয়স অনুয়ায়ী ওই ছাত্রী নাবালিকা। সবার নজর এড়িয়ে নাবালিকা এই স্কুল ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যাওয়া এবং অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরীক্ষা দিতে আসার ঘটনায় শোরগোল পড়েছে প্রশাসনিক মহলেও।

এদিন হাসপাতালে এসেছিলেন ওই ছাত্রীর মা চৈতালি খান্দার। তিনি জানান, গত বছর নবম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই হুগলির গুড়াপের ভাস্তারা গ্রামের সুকুমার মালিকের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়। বর্তমানে চার মাসের গর্ভবতী। মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে সম্প্রতি বাপের বাড়িতে আসে। নাবালিকা বিয়ে দেওয়া বেআইনি, তা সত্ত্বেও বিয়ে দেওয়া নিয়ে তাঁর সাফাই, ভাল পাত্র মেলায় বিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ছাত্রী চকদিঘি হাইস্কুলের ছাত্রী। তবে ওই ছাত্রীর বিয়ের বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেছেন। প্রধান শিক্ষিকা মিতা কোঁড়া জানান, জানতে পারলে ওই ছাত্রীর বিয়ে নিশ্চয়ই আটকানো হত।

[দুটি হাতই অসাড়, অদম্য মনের জোরে তবু মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে হাসিবুল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ