প্রতীকী ছবি
সৈকত মাইতি, তমলুক: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন স্বামী। জানাজানি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবাদ করেছিলেন স্ত্রী। তার পরিণতি হল মর্মান্তিক। বধূকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে দেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। দীর্ঘক্ষণ পর পুলিশের মধ্যস্থতায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম শিবানী মিদ্যা ধাড়া। তাঁর বয়স ২৯ বছর। বছর সাতেক আগে নন্দকুমারের মহাদুধিপুর এলাকার বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ ধাড়ার সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় উত্তর সাঁওতাল চকের শিবানীর। দম্পতির পাঁচ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। জানা যাচ্ছে, কয়েক বছর ধরেই এই দম্পতির মধ্য অশান্তি চলছিল। কারণ হিসেবে উঠে এসেছে পরকীয়ার তত্ত্ব। রবীন্দ্রনাথ নাকি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। শিবানী প্রতিবাদ করতেই তাঁর উপর অত্যাচার শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে সালিশি সভারও আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। এসবের মাঝে রবিবার সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়ি থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হয় বধূ। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা বধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিষয়টা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
সোমবার দেহটি পুলিশের তরফে মৃতার বাপেরবাড়ির সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাঁরা দেহ নিয়ে রবীন্দ্রনাথের বাড়িতে যায়। তাঁদের বাড়ি তালাবন্ধ থাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। উত্তেজিত জনতা তালা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে তাদের ঘিরেও তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। মৃতার ভাইয়ের অভিযোগ, “প্রতিবেশী বউদির সঙ্গে জামাইবাবুর সম্পর্ক ছিল। দিদি প্রতিবাদ করায় অশান্তি হত। এবার ওরা দিদিকে খুন করে দিল।” পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.