সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সর্বদা সত্যি কথা বলতেন। তাই মাটি স্পর্শ করত না যুধিষ্ঠিরের রথ। সবসময় ভূমি থেকে চার আঙুল উপরে বিচরণ করত। কিন্তু নিজের এই সততা আজীবন বজায় রাখতে পারেননি ধর্মপুত্রও। যেই না বলেছেন ‘অশ্বত্থামা হতঃ-ইতি গজঃ’। ওমনি হল পতন। মাটিতে নামল যুধিষ্ঠিরের রথের চাকা।
[জানেন, ঋতুস্রাবের সময় কেন মহিলাদের চকোলেটের খিদে বাড়ে?]
কিন্তু আপনি তো আর এমন সত্যবাদী নন। কারণে-অকারণে জীবনে কখনও না কখনও মিথ্যে তো বলেছেনই। আবার বড়বুড়োরা তো বলেই গিয়েছেন, ক্ষতিকারক সত্যির চাইতে মন রাখার মিথ্যে ঢের ভাল। বিশেষ করে সম্পর্কের মাধুর্য বজায় রাখতে তো বটেই।
‘আমি সবসময় তোমার কথাই ভাবি।’
এ কথা বলা যতটা সহজ কাজে করাটা কি অতটাই সহজ? একটা মানুষের পক্ষে কতক্ষণ একটিই বিষয় নিয়ে ভাবা সম্ভব? মনের চিন্তায় বৈচিত্র আসা তো সহজাত প্রবৃত্তি। তবুও মনের মানুষের মুখে ছোট্ট হাসি ফুটিয়ে দেয় এই সুন্দর মিথ্যেটি।
‘তোমার কথাগুলো সত্যি দারুণ মজার।’
সঙ্গীর সব কথায় কি আপনি হেসে লুটিয়ে পড়েন? তাঁর যা মজার মনে হয় আপনার তাতে হাসি নাই পেতে পারে। তবুও যে মানুষটা আপনার মন জয় করার চেষ্টা করছে, তাই সেই চেষ্টাকে নিজের মুখের সামান্য ভাঁজ দিয়ে সম্মান জানাতেই পারেন।
‘তোমার বন্ধুরা বেশ ভাল।’
কোনও মানুষকে আপন করে নিলে তাঁর পারিপার্শ্বিক মানুষগুলোর সঙ্গেও পরোক্ষ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর সে মানুষদের যে আপনারও পছন্দ হবে এমন তো কোনও কথা নেই। তবুও সঙ্গীর মান তো জনসমক্ষে রাখতেই হয়। তাই না!
[যখন তখন ঘুমিয়ে পড়ছেন, বড় কোনও অসুখ নয়তো?]
‘তোমায় দারুণ লাগছে আজ।’
এ কথাটি যখন বেশিরভাগ পুরুষই নিজের প্রেমিকা কিংবা স্ত্রীকে বলেন, সত্যিই কি মন থেকে বলেন? ধরুন সঙ্গী নতুন কোনও পোশাক পরেছেন। তেমন একটা ভাল লাগছে না। সে কথা সরাসরি বলতে পারবেন? তার চেয়ে ছোট্ট মিথ্যেটি বলাই বোধহয় ভাল।
‘রান্নাটা দারুণ হয়েছে।’
সঙ্গী নতুন কিছু রান্না করেছেন। কিংবা পুরনো রান্নাতেই একটু উনিশ-বিশ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আদরের রাঁধুনিটি যখন প্রশ্ন করে বসেন, কেমন হয়েছে গো? মন রাখার এই মিথ্যেটিই নিশ্চয়ই বলেন।
‘আমি কখনও তোমার থেকে কিছু লুকোবো না’
সত্যিই কি তাই? এমন একটিও কি নেই যা আপনি নিজের সঙ্গীর থেকে লুকিয়ে যাননি। একটি মানুষের সারাজীবনে এমন ঘটনা তো একাধিক থাকে। সব কথা কি সবাইকে বলার জন্য হয়? কিছু তো মনের মধ্যে থাকাই ভাল।
‘তোমার মা-বাবা তো আমার মা-বাবার মতোই।’
কথাটি বলুন আর না বলুন, মেনে কিন্তু চলবেন। বিশেষ করে যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন। আর যাই করুন শ্বশুর-শাশুড়িকে কখনও ঝগড়ার মাঝে অন্তত আনবেন না।
[সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাক্তনের প্রোফাইলে উঁকি? এই রোগে ভুগছেন না তো?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.