সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে রাম নবমী উৎসব পালনকে নিজেদের নৈতিক জয় হিসাবে দেখছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। বুধবার কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংঘের দক্ষিণবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক জিষ্ণু বসু বলেছেন, “গোটা ভারতের রাজনৈতিক দলগুলির মূল স্রোতে ফিরে আসাটাকে আমরা আমাদের জয় বলে মনে করছি।” তাঁর কথায়, “হিন্দুত্ব ভাবনার প্রসারই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের লক্ষ্য। অন্য রাজনৈতিক দলগুলির রাম নবমী পালনে সেই হিন্দুত্ব প্রসারের আন্দোলনকেই শক্তিশালী করবে। এটা আমাদের কাছে খুশির খবর।”
[চাপে পড়েই মমতার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চাইছেন চামলিং]
রাম নবমীর মিছিলে অস্ত্র বহনকে কেন্দ্র করে গত বছর তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে অস্ত্র নিয়ে মিছিলের অনুমতি দিতে চায়নি রাজ্য প্রশাসন। তা নিয়ে জল আইন-আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সেই প্রসঙ্গে এদিন জিষ্ণুবাবু বলেন, “অস্ত্র ও মাইক বাজানো নিয়ে রাজ্য সরকারের যা নিষেধাজ্ঞা, তা ১০০ শতাংশ মেনেই মিছিল করা উচিত। আমাদের বক্তব্য, প্রত্যেক রামভক্ত যেন আইন মেনে চলেন। সংঘ মনে করে, অস্ত্র নিয়ে মিছিলে যদি সম্প্রীতি নষ্ট হয়, তবে কারওই কোনও মিছিলে অস্ত্র নিয়ে বেরনো উচিত নয়।”
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় মনীষীদের মূর্তি ভাঙা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। যার সূত্রপাত ত্রিপুরার লেনিন মূর্তি ভাঙা দিয়ে। এপ্রসঙ্গে আরএসএসের দক্ষিণবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মূর্তি ভাঙা রাজনীতির নিন্দা করেছেন। যদিও তাঁর বক্তব্য, ত্রিপুরায় যে লেনিন মূর্তিটি ভাঙা হয়েছে, সেটি বসানো হয়েছিল বেআইনিভাবে, অনে্যর জমি দখল করে। তাঁর কথায়, “মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদ আগেই সংঘ করেছে। এখন আবার করছি। কিন্তু ওই মূর্তি জোর করে দখল করা জমিতে বসানো হয়েছিল। গৌতম মজুমদার নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে রাস্তা তৈরির জন্য ৮ গন্ডা (প্রায় ১০ কাঠা) জমি নেওয়া হয়েছিল। ওই জমিতে রাস্তা তৈরির সময় বেআইনিভাবে আরও কিছুটা জমি দখল করে তাতে লেনিনের ওই মূর্তি বসানো হয়।”
[হাসপাতালের বেডে বসেই মাধ্যমিক অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকার, বেনজির ঘটনা জামালপুরে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.