সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বৃষ্টি হতেই দুর্গন্ধ নাকে আসছিল অনেকের। অনেকেই ভাবছিলেন কী হতে পারে! দিনকয়েক আগে পাড়ার ছোট্ট মেয়েটিও বলছিল, তার মাকে বাবা খুন করেছে। বাচ্চা মেয়ের কথা, কী থেকে কী বলছে, এই ভেবে তেমন আর কেউ পাত্তা দেয়নি। কিন্তু দুয়ে দুয়ে চার করে মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল মহিলার কঙ্কাল। তীব্র চঞ্চাল্য ছড়াল বর্ধমানের মানকরে।
[ ইন্ডাকশন ওভেনে শটসার্কিট, পুড়ে মৃত্যু শিশুকন্যা-সহ ২ গৃহবধূর ]
বুদবুদ থানার মানকর গ্রামের বাসিন্দা বাপন বাউড়ি। ছাপোষা নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত সে। মাসখানেক আগেও সে কাজটিও গিয়েছিল। হাতে কাজ নেই, কিন্তু ঘরে তিন তিনটি বউ রয়েছে। হ্যাঁ, তিনবার বিয়ে করেছিল বাপন। কাউকে ডিভোর্স দেয়নি, তিন বউকে নিয়েই থাকত। বড় আর মেজ বউ এক বাড়িতেই থাকত। সঙ্গে থাকত মেজ বউ বনলতার মেয়ে সুজাতা। আর ছোট বউ খানিকটা দূরে থাকত অন্য একটি বাড়িতে। তিন বউকে ম্যানেজ করেই বেশ চলছিল বাপনের। অভিযোগ, কোনও একটা কারণে মেজ বউ বনলতাকে সে খুন করে। তারপর পুঁতে দেয় নিজেরই বাড়ির উঠোনে।
[ বিজেপি প্রার্থীকে টাকার টোপ দিয়ে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার হুমকি ]
দিনকয়েক আগে থেকেই তাই বনলতাকে দেখা যাচ্ছিল না। তার মেয়ে সুজাতাকে জিজ্ঞেস করলে সে জানিয়েছিল, বাবা তার মাকে খুন করেছে। কিন্তু বাচ্চা মেয়ের কথায় তেমন পাত্তা দেয়নি পাড়ার লোকেরা। এরপর বাপন সমেত বাড়ির অন্যরা বেশ কিছুদিনের জন্য গ্রাম থেকে গায়েব হয়ে যায়। এদিকে কদিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে। তারপরই বাপনের বাড়ির উঠোন থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। উঠোনের একটাদিক বসেও যায় খানিকটা। বোঝা যায় গর্ত জাতীয় কিছু থাকার ফলেই ধস নেমেছে ওই অংশে। কিছু যে একটা হয়েছে তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি স্থানীয় বাসিন্দাদের। কানে ভাসছে একরত্তি সুজাতার কথাও। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে এক মহিলার কঙ্কাল। পরনে এখনও শাড়ির অবশেষটুকু লেগে আছে। অনুমান সুজাতার মা বনলতাকে খুন করে উঠোনে পুঁতে দিয়েই চম্পট দিয়েছে বাপন। কঙ্কাল দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ঘটনা বেশিদিনের নয়। পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
[ চিকিৎসায় গাফিলতিতে প্রসূতির মৃত্যু, নার্সিংহোম-চিকিৎসকের চেম্বারে ব্যাপক ভাঙচুর ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.