দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে ক্রমশ বাড়ছে দ্বন্দ্ব। জানা গিয়েছে, সমগ্র হুগলি জেলা জুড়ে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের বহু আসনেই শাসকদলের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন জমা করেছেন। তাই কে প্রার্থী হয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয় শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের কাছে। বহু জায়গায় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামতে পারছেন না ব্লক নেতৃত্ব। এদিকে দলের পুরোনো কর্মীদের জায়গা না দিলে তারা যে পঞ্চায়েত ভোটে বিদ্রোহ করতে পারে তারই ঈঙ্গিত পাওয়া গেছে বহু ব্লকে।
[আদিবাসী ভোটারের মন পেতে ভরসা ভাষাতে, সাঁওতালিতে প্রচার তৃণমূলের]
একাধিক জেলায় গোঁজ প্রার্থীদের নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে শাসকদল। একই আসনের জন্য একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেওয়ায় দলীয় কর্মীরা নির্বাচনী প্রচারে নামতে পারছেন না। ফলে সমস্যায় পড়েছেন দলের ঊর্দ্ধতন নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার দলীয় কোন্দল মেটাতে শেষ পর্যন্ত ধনেখালিতে এক জরুরী বৈঠকে বসেন দলের বিধায়করা ও শীর্ষ নেতৃত্ব। তাতেও সমস্যা খুব একটা মিটবে বলে মনে করছেন না অনেকেই। সূত্রের খবর, তারকেশ্বর ব্লকের তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা রীতিমতো ক্ষোভের সাথে জানান বিধায়ক তাদেরকে এখনেও প্রার্থী তালিকা দেননি। প্রার্থী তালিকা হাতে না পেলে তাঁরা পরবর্তী কর্মসূচী নিতে পারছেন না। এদিকে পুরোনো ও নব্য তৃণমূলের লড়াই এখনো অব্যাহত। তারকেশ্বরের বহু বুথে পুরোনোদের জায়গা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠছে। স্থানীয় নেতা ও কর্মীদের দাবি পঞ্চায়েতের ১৪৪ টি আসনের ২০ শতাংশ আসনে অঘোষিতভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে পুরোনোদের যোগ্য সম্মান না দেওয়া হলে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় যারা জয়ী হয়েছেন তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন বলে।
আরামবাগে জেলা পরিষদের ৪০ নং আসনে দুই তৃণমূল প্রার্থীর লড়াই রীতিমতো দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। ওই আসনে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিশির সরকার ও আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ কমল কুশারি দুজনেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। কিন্তু এই দুজনেই আরামবাগের হেভিওয়েট প্রার্থী। তাই কাকে বাদ দিয়ে কাকে টিকিট দেওয়া হবে এনিয়ে ধন্ধে দলীয় নেতৃত্ব। তবে বিশেষ সূত্রে খবর দুজনকে নিয়ে একসাথে আলোচনায় বসার পরই সিদ্ধান্ত হবে কে প্রার্থী হচ্ছেন। এ বিষয়ে শিশির সরকার অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে চান নি। দলের নির্দেশ মেনেই তিনি কাজ করবেন। হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তপন দাশগুপ্ত জানান জেলার ১৮ টা ব্লকের মধ্যে ১৪ টা ব্লকেই সমস্যা মিটে গেছে। বাকি চারটে ব্লকেও খুব শীঘ্র সমস্যা মিটে যাবে।
[একই আসনে দুই দলের হয়ে প্রার্থী! গৃহবধূর কাণ্ড দেখে চোখ কপালে গ্রামবাসীদের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.