Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘বেআইনিভাবে নির্মিত মন্দির থেকে দেবতার কাছে প্রার্থনা পৌঁছাবে?’

দিল্লিতে ১০৮ ফুট লম্বা হনুমান মূর্তি নিয়ে প্রশ্ন আদালতের।

Will prayers reach god from illegally built temples:Delhi HC
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 13, 2017 7:23 am
  • Updated:September 19, 2019 4:52 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রার্থনা কি ভগবানের কাছে পৌঁছাবে? মন্দির যদি বেআইনিভাবে নির্মিত হয়! এ প্রশ্নই তুলল দিল্লি হাই কোর্ট। করোলবাগ এলাকায় ১০৮ ফুট লম্বা হনুমান মূর্তি সংক্রান্ত এক মামলার প্রেক্ষিতেই এই মজাদার প্রশ্ন আদালতের।

আপনার আধার কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? ধরে ফেলুন নিজেই ]

Advertisement

রাস্তার উপর এসে পড়েছে মূর্তিটি। তাকে ঘিরে চলছে গাড়ি পার্কিং ও অন্যান্য ব্যবসাও। এ নিয়েই একটি মামলা উঠেছিল বিচারপতি গীতা মিত্তল ও বিচারপতি সি হরি শঙ্করের বেঞ্চে। সবদিক খতিয়ে দেখেই আদালত এ প্রশ্ন করে। বেআইনি নির্মাণ, তা যদি মন্দিরও হয়, তবে তার সঙ্গে যুক্ত সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও সতর্কবার্তা শুনিয়েছে আদালত। আদালত জানতে চায়, রাস্তা ও ফুটপাথ কার আওতায় পড়ে? কেনই বা এখানে বেআইনি নির্মাণ মাথাচাড়া দিল? উত্তরে জানানো হয়, রাস্তা ও ফুটপাথ পুরসভারই আওতায়। হনুমান মূর্তির খানিকটা অংশ মাত্রই ফুটপাথে এসে পড়েছে। কিন্তু তাহলে কেন ওই এলাকায় গাড়ি পার্কিং ও অন্যান্য ব্যবসা চলছে, তা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত। যদি দিল্লি ডেভলপমেন্ট অথরিটির আওতাতেই এ জায়গা থাকে, সেখানে নির্মাণ ও ব্যবসা চলাও বেআইনি। কার সময়ে এই নির্মাণ হয়, তাও জানতে চেয়েছে আদালত। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়, মূর্তির রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখভালের জন্য একটি ট্রাস্ট আছে। তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হিসেবনিকেশ এজেন্সি মারফত পরীক্ষা করা হয়। আদালতের পাল্টা প্রশ্ন, ট্রাস্ট দিল্লি ডেভলপমেন্ট অথরিটির জায়গায় মূর্তি তৈরিই বা করেছে কেন?

Advertisement

বিদেশ থেকে আনা মাশরুম খেয়ে ফর্সা হয়েছেন মোদি, কটাক্ষ কংগ্রেস নেতার ]

উচ্চতম হনুমান মূর্তি নিয়ে দিল্লিবাসীর একাংশের গর্বের শেষ নেই। অন্যদিকে তার জেরে অসুবিধারও শেষ নেই। এলাকায় গাড়ি পার্কিং থেকে শুরু করে নানারকম ব্যবসা চলে। রাস্তা ও ফুটপাথ বন্ধ। এ নিয়ে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছিল আদালতে। তারই শুনানিতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল আদালত। আদালতের মত, ধর্মীয় কোনও কিছুই হলেও সরকারি জায়গায় নির্মাণ বরদাস্ত করা হবে না। উল্লিখিত হনুমান মূর্তির ক্ষেত্রে তাই-ই হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতিনিধিকে তাই এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়। নির্মাণ সংক্রান্ত পুরো বিষয় আদালতের সামনে পেশ করতে বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে ক্ষুব্ধ আদালতের প্রশ্ন, নির্মাণ বেআইনি হলে, প্রার্থনা দেবতার কাছে পৌঁছাবে কী করে?

[ ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে লাগাতার যৌন হেনস্তা, গ্রেপ্তার প্রধানশিক্ষক ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ