প্রতীকী ছবি।
পলাশ পাত্র, নদিয়া: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বন্ধুরা। ন’চরে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন সকলে। গল্প করতে করতে আচমকা তাদেরই একজন পকেট থেকে বের করল ওয়ান শাটার। ট্রিগার টিপতেই চোখে অন্ধকার দেখলেন পূর্ণেন্দু রায়। একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন যুবক। তাঁর চোয়াল ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে গুলি। ঘটনার পর থেকেই পলাতক বন্ধুরা। তাদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
[বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে তরোয়াল দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ]
রবিবার গভীর রাতের এই ঘটনায় হতবাক নদিয়ার কালিগঞ্জ থানা এলাকার গোবরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। ঠিক কী কারণে বন্ধুরা গুলি চালাল, ভেবে পাচ্ছেন না পূর্ণেন্দুর পরিবারের লোকেরাও। ঘটনার পর অভিযুক্ত বন্ধুরা নদী পেরিয়ে অন্যত্র পালিয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর পূর্ণেন্দুর বাবা মারা যান। বাড়িতে তিনি মায়ের সঙ্গে থাকেন। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলোতেও ভাল ছিলেন কাটোয়া কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। এর পাশাপাশি চাষ-আবাদের কাজও করতেন।
[পঞ্চায়েত ভোটে হস্তক্ষেপ নয়, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মুখ পুড়ল বিজেপির]
হাসপাতালে শুয়ে পূর্ণেন্দু জানিয়েছেন, রবিবার রাতে বাড়ি থেকে তাঁকে ডেকে নিয়ে যায় বন্ধুরা। বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ন’চরে বসে গল্প করছিলেন তাঁরা। কথা বলতে বলতে আচমকাই একজন তাঁকে লক্ষ করে গুলি চালায়। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন পূর্ণেন্দু। তাঁকে ফেলেই চম্পট দেয় বন্ধুরা। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রথমে বর্ধমান হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পিজিতে স্থানান্তরিত করা হয়।প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে ব্যক্তিগত রেষারেষির কারণেই গুলি চালানো হয়েছে। প্রণয়ঘটিত কারণেও গুলি চালানো হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। শেষ ২৪ ঘণ্টায় পূর্ণেন্দুকে কারা কারা ফোন করেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[পঁচাত্তরেও প্রার্থী অজিত কুম্ভকার, বাড়িতে এসে আশীর্বাদ নিয়ে যাচ্ছেন বিরোধীরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.