Advertisement
Advertisement
শুভেন্দু অধিকারী

‘২০১১ সালে সন্ত্রাস রুখেছি, এবারও রুখব’, শালবনিতে আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু

শুভেন্দুর অভিযোগ, চকতারিণীতে মিছিলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে বিজেপি।

Subhendu Adhikari confident to gets back Jangalmahal
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 29, 2019 8:44 pm
  • Updated:May 29, 2019 8:44 pm

সম্যক খান, মেদিনীপুর: শালবনিতে দীর্ঘ পদযাত্রা করে প্রতিরোধের বার্তা দিলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বললেন, ‘‘২০১১ সালের আগে সন্ত্রাস রুখেছি। এবারও রুখব। পুরনো বোতলে নতুন মদের মতো যে কায়দায় সিপিএমের হার্মাদরা বিজেপির নাম নিয়ে সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে তা মানা যাবে না৷ গণতন্ত্রে হার জিত রয়েছে। কিন্তু যে কায়দা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে তা সহ্য করা যাবে না।’’ তিনি কর্মীদের দলবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করার ডাকও দিয়েছেন।

[ আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় বিজয় মিছিলের পর তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আগুন বিজেপি কর্মীদের]

জঙ্গলমহলে দলীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। মাত্র ৪৮ ঘন্টা আগেই শালবনি-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন সন্ত্রাসকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছিলেন তিনি৷ বুধবার শালবনিতেই করলেন পদযাত্রা। শালবনির নিচুমঞ্জরী হাইস্কুল থেকে সন্ত্রাস কবলিত মণ্ডলকুপী পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পদযাত্রায় নেতৃত্ব দিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে হাঁটলেন রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া, জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি, সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো, নির্মল ঘোষ, নেপাল সিংহ, কৃষ্ণেন্দু বিশই, স্নেহাশীষ ভৌমিক, সুজয় হাজরা প্রমুখ। এদিনের মিছিলকে ঘিরে তৃণমূল কর্মীদের উৎসাহ ছিল লক্ষ্য করার মতো।

Advertisement

SUBHENDU-ADHIKARI

Advertisement

শুভেন্দুর অভিযোগ, এদিন চকতারিণীতে মিছিলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল বিজেপি। তবে তাদের যে ভাষায় উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন ছিল সেই ভাষাতেই উত্তর দিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘৮০ শতাংশ সন্ত্রাস রুখে দিয়েছি। বাকিটাও রুখব। ২০০৯ সালে তৃণমূলের ৩৭৫ জন কর্মী খুন হয়েছিলেন, ২০১০ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ২৮৫। আর ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত খুন হয়েছিলেন ৮৫ জন তৃণমূল কর্মী। সেগুলি ছিল মাওবাদী হামলা। এরাজ্যে যে রাজনৈতিক শান্তি আছে তা নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। ২০১১ সালে সন্ত্রাস রুখেছি। এবারও রুখব।’’

[আরও পড়ুন: মোদির শপথে থাকছে পুলওয়ামায় শহিদ নদিয়ার সুদীপের পরিবার]

বুধবারই বাঁকুড়ার শালতোড়ায় এক তৃণমূল কর্মী মারা গিয়েছেন। অভিযোগ, বিজেপির বিজয় মিছিল থেকে তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বিজেপির জামা গায়ে দিয়ে সিপিএমের হার্মাদরা যে দখলদারির রাজনীতি শুরু করতে চাইছে তা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘রাজ্যে মোটেও তৃণমূল খারাপ ফল করেনি। গতবারের থেকে ভোটও বেড়েছে। রাজ্যের ১৬১ বিধানসভায় এবারও লিড পেয়েছে তৃণমূল। এই জেলাতেও ১৫টির মধ্যে ৮টিতে লিড আছে। তবে আশানুরূপ না হওয়ায় কর্মীরা সাময়িক মুষড়ে পড়েছিলেন। প্রাক্তন সিপিএম ও বিজেপি আমাদের কর্মীদের রাগিয়ে দিয়েছে। এখন তারা রাস্তায় নেমে পড়েছেন।’’ দলের নেতাকর্মীদেরও এলাকায় লাগাতার রাজনৈতিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘উন্নয়নের প্রতিযোগিতা হোক। সব দল থাক। সব দলেরই অফিস থাক। কিন্তু জোর করে দলীয় কার্যালয় দখলের সংস্কৃতি মানব না৷’’

দেখুন ভিডিও:

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ