Advertisement
Advertisement

Breaking News

চিকিৎসক

ক‌্যানসারের ভয় দেখিয়ে মহিলাদের গোপনাঙ্গ পরীক্ষা, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডাক্তারের সাজা

বিকৃতমনস্ক চিকিৎসককে নিয়ে বিলেতে শোরগোল। 

Indian-origin doctor used cancer fears to assault women in UK
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 11, 2019 5:25 pm
  • Updated:December 11, 2019 9:33 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : কখনও স্তন ক্যানসারের ভয়, তো কখনও আবার নিম্নাঙ্গে জটিল অসুখের আতঙ্ক। এরকমই নানা অছিলায় মহিলা রোগীদের গোপনাঙ্গে হাত দিতেন লন্ডনের ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক মণীশ শাহ। বিনা প্রয়োজনে এভাবে মেডিক‌্যাল পরীক্ষা করা এবং সেই সময় মহিলা রোগীদের যৌন হেনস্তার অভিযোগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই চিকিৎসককে দোষী সাব‌্যস্ত করল লন্ডনের ওল্ড বেইলি কোর্ট।   

জানা গিয়েছে, রোগীরা চিকিৎসার জন্য গেলেই মণীশ বলতেন, “হলিউডের নায়িকা অ‌্যাঞ্জেলিনা জোলির ব্রেস্ট ক‌্যানসার হয়েছিল। ম‌্যাসটেকটমি করে ক‌্যানসার ছড়িয়ে পড়া স্তনের অংশ বাদ দিতে হয়। আজকাল মেয়েদের মধ্যে এই ক‌্যানসার হওয়ার প্রবণতা ভীষণ বাড়ছে। আপনারও সচেতন থাকা উচিত।একবার কি আপনাকে চেক করে নেব?” চিকিৎসকের উদ্বেগ মেশানো কণ্ঠে এভাবেই তরুণী রোগীদের মধ্যে স্তন, রেক্টাম ক‌্যানসার, নিম্নাঙ্গের নানা অসুখের ভয় ঢুকিয়ে দিতেন ডাক্তার মণীশ শাহ। তারপর পরীক্ষা করার অছিলায় নানাভাবে মহিলাদের গোপনাঙ্গ, স্তনে হাত দিতেন। 

Advertisement

[আরও পড়ুন : নিউ জার্সি শহরে বন্দুকবাজের হানা, পুলিশকর্মী-সহ মৃত ৬]

অভিযোগ, ২০০৯ সালের মে মাস থেকে ২০১৩-র জুন পর্যন্ত বছর পঞ্চাশের ওই চিকিৎসক অন্তত ২৩ জন মহিলা রোগীকে এভাবে যৌন হেনস্তা করেছেন। নিগৃহীতাদের মধ্যে রয়েছে এক ১১ বছরের নাবালিকাও। বিভিন্ন সময় আলাদা আলাদাভাবে রোগিণীরা তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ এনেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ডা. মণীশ নিজে একজন জেনারেল ফিজিশিয়ান হয়েও গাইনোকলজিস্ট, অঙ্কোলজিস্টরা যে মেডিক‌্যাল পরীক্ষাগুলি করেন সেগুলি করতেন। অন‌্য অসুখ নিয়ে তাঁর কাছে গেলেও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ঠিক এই সব অসুখের নাম করে রোগীকে ভয় পাইয়ে দিতেন। অসুখের কথা শুনে ভয় পেয়ে যেতেন রোগীরা। তারই সুযোগ নিতেন এই বিকৃতমনস্ক চিকিৎসক।  

Advertisement

[আরও পড়ুন : প্রোটোকল ভেঙে বাঙালি সাজে স্বামী অভিজিতের সঙ্গে নোবেল পুরস্কারের মঞ্চে এস্থার]

         

আদালতে মামলাকারী এক রোগী জানিয়েছেন, মণীশ সব সময় মহিলা রোগীদের উদ্দেশে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব‌্য ছুড়ে দিতেন। কথায় কথায় রোগিণীদের জড়িয়ে ধরে নরম গলায় বলতেন, ‘তুমি আমার স্পেশাল পেশেন্ট’, ‘তুমি আমার স্টার’। ২০১৩ সালে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই মণীশকে ডাক্তারি প্র‌্যাকটিস থেকে সাসপেন্ড করা হয়। মঙ্গলবার ওল্ড বেইলি কোর্টের আইনজীবী কেট বেক্স মণীশকে সাসপেন্ড করার দাবি তুলে বলেন, “ওই ডাক্তার নিজের পেশার অবমাননা করেছেন, পেশার ফায়দা নিয়ে মেয়েদের গোপনাঙ্গ, স্তন ও পায়ুদ্বারে অকারণে পরীক্ষা করতেন। উনি ন‌্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের নিয়মাবলী লঙ্ঘন করেছেন।” একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক যৌন হেনস্তার অভিযোগও এসেছে। মণীশের ডাক্তারির লাইসেন্স কেড়ে নিয়ে জেলের সাজা শীঘ্রই ঘোষণা হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ