সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৃহযুদ্ধে জ্বলছে মায়ানমার। বার্মিজ সেনার সঙ্গে লড়াই চলছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের। যার মধ্যে অন্যতম আরাকান আর্মি। পৃথক আরাকান দেশ গড়তে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এই সংঘাতের আঁচ লেগেছে বাংলাদেশে। জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ সীমান্তে মায়ানমারের অন্যতম বড় শহর মংডু দখল করেছে বিদ্রোহীরা। এমতাবস্থায় মায়ানমার থেকে শয়ে শয়ে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শরণার্থীদের ভিরে মিশে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের অনুপ্রদেশের ভয়ও থাকছে।
সোমবার আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থুকা সংবাদ সংস্থা এপিকে জানান, কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ মংডু শহরের সেনাঘাঁটি দখল করে নেওয়া হয়েছে। ফলে ২৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ এখন তাদের হাতেই। জানা গিয়েছে, ওই সেনাঘাঁটির কমান্ডার ব্রিগ যেন থুরেন তুনকে পালানোর সময় বন্দি বানিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু মংডুর পরিস্থিতি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে দেশের জুন্টা সরকার। এখনই কোনও মন্তব্য করতে রাজি নয় তারা। বলে রাখা ভালো, মায়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের ৪০০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত মংডুর উপর গত জুন মাস থেকে নজর ছিল আরাকান আর্মির। এছাড়া চলতি বছরের শুরুতেই সেনাকে কোণঠাসা করে সীমান্তবর্তী দুই গ্রাম দখল করে নেয় বিদ্রোহীরা।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর সেখানে সরকার গঠন করে জুন্টা। গত আড়াই বছর ধরে তারাই চালাচ্ছে দেশ। সেই থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে বার বার বিদ্রোহ হয়েছে মায়ানমারে। এর পর জোট বাঁধে তিন বড় বিদ্রোহী গোষ্ঠী টিএনএলএ (তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি), আরাকান আর্মি ও এমএনডিএএ (মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি)। এই জোটের নাম ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’। ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে বিদ্রোহী জোট শুরু করে ‘অপারেশন ১০২৭’। এর জেরে মায়ানমারের বেশ কয়েকটি প্রদেশে প্রবল বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে। মায়ানমারের উত্তরের রাজ্য রাখাইনের দখল নিয়ে নেয় আরাকান আর্মি। এই রাখাইনই এখন গৃহযুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.