ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে থামছে না হিন্দু নির্যাতন। মারধর, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে প্রতিনিয়িত। এই পরিস্থিতিতে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের উপর চাপ বাড়াল আমেরিকা! সংখ্যালঘু নির্যাতনে সরব হলেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ব্র্যাড শেরম্যান। ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারেরই।
বাংলাদেশে এখনও জেলবন্দি ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর আইনজীবীও। লাগাতার হামলা চালানো হচ্ছে মন্দিরে। ভারতীয় হিন্দু জানলে দ্বিগুণ হচ্ছে অত্যাচার। এই অশান্ত পরিস্থিতি নিয়েই মুখ খুলেছেন মার্কিন আইন প্রণেতা ব্র্যাড শেরম্যান। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব সকল নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার। বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর যে হিংসার ঘটনা ঘটছে সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। হিন্দুদের উপর হামলায় আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। বাংলাদেশ সরকারকে হিন্দুবিরোধী ঘটনা রুখতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’ এর আগে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ইউনুস সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি আলোড়ন তৈরি করেছে বিশ্বমঞ্চে। হিন্দুদের রক্ষা করতে বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেই ঢাকা যাচ্ছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। অন্যদিকে, সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে ব্রিটেনও। জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় ঢাকায় যেতে নাগরিক নিষেধ করেছে সেদেশের প্রশাসন। এর মাঝেই নাগরিকদের সুরক্ষার দায়িত্ব মনে করিয়ে দিলেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য। ফলে সবদিক থেকে সাঁড়াশি চাপে ইউনুস সরকার। আর বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিকেই কাজে লাগাতে উঠে পড়ে লেগেছে পাকিস্তান। ঢাকার সঙ্গে বন্ধুত্ব মজবুত করতে মরিয়া ইসলামাবাদ। সুযোগ হাতছাড়া করছে না চিনও। জামাতের মতো মৌলবাদী দলের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন চিনা ইয়াও ওয়েন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.