সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “চিনের ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ বা ‘ওবিওআর’ প্রকল্পকে গোটা দুনিয়া স্বাগত জানিয়েছে। একমাত্র ব্যতিক্রম ভারত। ভারতই বারবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ইকোনমিক করিডর তৈরির বিরোধিতা করে এসেছে। এর ফল ভাল হবে না।” এবার এমনই হুমকি দিল চিনা মিডিয়া।
[মিশে যাচ্ছে Idea ও Vodafone, তৈরি হবে দেশের বৃহত্তম নেটওয়ার্ক]
গত শুক্রবার চিনা কূটনীতিবিদদের একটি দল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবনা তুলে ধরে জানিয়েছে, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া, ইউরোপের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সড়ক ও জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা জরুরি। কিন্তু প্রথম চিনের ‘ওবিওআর’ প্রকল্পের বিরোধিতা করে আসছে ভারত। আসন্ন মে মাসে বেজিংয়ে ‘ওবিওআর’-এর প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে চিন। ২০টি দেশের শীর্ষনেতারা ওই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে দাবি করেছে চিনা মিডিয়া। যদিও ভারত ওই সম্মেলনে যোগদানের বিষয়ে কোনও উচ্চবাচ্চ্য করেনি এখনও।
কারণ, ভারত প্রথম থেকেই দাবি জানিয়ে আসছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ইকোনমিক করিডর তৈরি হলে ভারতের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে। একইভাবে দক্ষিণ চিন সাগরেও চিনা আধিপত্যে নাক গলিয়েছে ভারত ও ভিয়েতনাম। এতেই বেজায় চটেছে বেজিং। ২০১৩-য় প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং ‘চিন পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর’ বা ‘সিপিইসি’-র পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আনেন। ‘ওবিওআর’-এর সামগ্রিক প্রকল্পের অধীনে সিপিইসি একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রোজেক্ট। চিনের কমিউনিস্ট সরকারের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, ওবিওআর-এর প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন আটকাতে করতে পারবে না নয়াদিল্লি। ভারত বিরোধিতা করলেও, আন্তর্জাতিক সমর্থনে দ্রুতই ওই মহাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
ভারতের হয়ে বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর গত ২২ ফেব্রুয়ারি চিনা আগ্রাসনের জবাব দিয়ে বলেছেন, “সিপিইসি ভারতের সার্বভৌমত্বকে আঘাত করবে। কারণ, ওই করিডর পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে যাবে।” জয়শঙ্কর আরও জানিয়েছেন, ভারত তার সর্বভৌমত্বের বিষয়ে সচেতন। যে কেউ এসে তার উপর আঘাত করবে, এটা মেনে নেওয়া হবে না।