Advertisement
Advertisement

‘পাকিস্তানের পাশেই আছি’, ভারত সফরের প্রাকমুহূর্তেই বেসুরো জিনপিং

বৃহস্পতিবার দু’দিনের সফরে ভারতে আসছেন জিনপিং।

Chinese President extends support to Pakistan on Kashmir issue
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 10, 2019 9:17 am
  • Updated:October 10, 2019 9:17 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত সফরের দু’দিন আগেই উল্টো সুরে গাইলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। স্পষ্ট জানালেন, কাশ্মীর প্রশ্নে এবং সব ইস্যুতে চিন পাকিস্তানের পাশেই আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। চিন সফরে ব্যস্ত পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাশে বসিয়ে তিনি বলেন, কাশ্মীরের পরিস্থিতির দিকে আমরা ভালভাবে নজর রাখছি। পাকিস্তানের স্বার্থের সঙ্গে যে ইস্যুগুলি জড়িত, তাতে আমরা পাকিস্তানকে সমর্থন করব। একইসঙ্গে তিনি বলেন, কাশ্মীর নিয়ে আমরা আমাদের পুরনো অবস্থানে অনড়। অর্থাৎ কাশ্মীর ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে কাশ্মীর নিয়ে বিরোধ মিটিয়ে নিতে হবে।

[আরও পড়ুন: মার্কিন বিমান হানায় খতম ভারতীয় উপমহাদেশের আল কায়দা প্রধান]

Advertisement

শি জিনপিংয়ের ভারত সফরের আগে চিন থেকে ইমরানকে কার্যত ডেকে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেন চিনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং। পরে তিনি বলেন, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় পাকিস্তানের পাশে আছে চিন। চিনের সংবাদমাধ্যম জিনহুয়া জানিয়েছে, ইমরানকে বুধবার সকালে জিনপিং নিজে বলেছেন, ‘‘কোনটা ঠিক কোনটা ভুল, সেটা আমাদের কাছে স্পষ্ট। কাশ্মীর সহ সব ইস্যুতে আগের মতোই পাকিস্তানের পাশেই থাকবে চিন। আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক পরিস্থিতিতে যে পরিবর্তনই আসুক, পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের বন্ধুত্ব বরাবরই পাথরের মতো শক্ত হয়েছে।’’

Advertisement

জবাবে আগের মতোই রুটিনমাফিক বিবৃতি দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার। তিনি বলেছেন, “কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সেখানে যা হচ্ছে তা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিশ্বের কোনও শক্তির অধিকারই নেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর। চিন-পাকিস্তান আলোচনায় কাশ্মীর নিয়ে বিবৃতির তীব্র প্রতিবাদ করছে ভারত। এটা পুরোপুরি অনভিপ্রেত। আশা করি চিন নিজেও এটা জানে।”

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দু’দিনের সফরে ভারতে আসছেন চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিং। তামিলনাড়ু তাঞ্জাভুর জেলার কুম্ভকোনমের মাল্লাপুরম গ্রামের স্নিগ্ধ সবুজ রিসর্টে ঘরোয়া বৈঠক, আড্ডা, আলাপচারিতায় ব্যস্ত হয়ে উঠবেন মোদি ও জিনপিং। চিনের ইউহানে ঠিক এভাবেই মোদিকে সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি নয়নাভিরাম রিসর্টে আড্ডা, আলাপচারিতায় মেতে উঠেছিলেন বিশ্বের দুই মহাশক্তিধর দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও সংবাদমাধ্যমে সাড়া ফেলেছিল পরিচিত প্রথার বাইরে গিয়ে, রীতি বহির্ভূত এই ধরনের ব্যতিক্রমী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। এরপর থেকে ভারত ও চিন ঠিক করে কূটনৈতিক সম্পর্ক ও বোঝাপড়া মজবুত করতে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা মাঝে মাঝেই এরকম ঘরোয়া আলাপচারিতায় যোগ দেবেন যেখানে রাজনীতির আলোচনা থাকবে একটু পিছনের সারিতে।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই বৈঠকের ফলে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বোঝাপড়ার পথ পরিষ্কার হবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদি-চিন বন্ধুত্বপূর্ণ বৈঠক হতে চলেছে। সেখানে দুই দেশই বাণিজ্যিক ও আর্থিক নানা বিষয়ে প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে পারে। এই পরিবেশে পাকিস্তানের কাছে যাতে কোনও ভুল বার্তা না যায় সেজন্য ইমরানকে আগেভাগে ডেকে তাঁর মন রাখতেই বৈঠক ও বিবৃতি দিলেন জিনপিং। বলা ভাল, কাশ্মীর নিয়ে আশ্বস্ত করে পুরনো বন্ধু ইমরানের মনতুষ্টি করলেন চিনা নেতারা। তাতে যে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না, অর্থাৎ কাশ্মীরে তৃতীয় পক্ষ হিসাবে চিন যে হস্তক্ষেপ করতে পারছে না তা চিনের কাছেও স্পষ্ট।

[আরও পড়ুন: মন্দার প্রভাব আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে, বলছেন IMF-এর নয়া প্রধান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ