Advertisement
Advertisement
মৃত্যু

আত্মহত্যা না খুন? এপস্টেইনের মৃত্যুতে উত্তাল আমেরিকা

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও হাতে না পাওয়ায় ছড়াচ্ছে ক্ষোভ।

Conspiracy theories arise after Jeffrey Epstein’s death
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 13, 2019 9:00 am
  • Updated:May 19, 2020 11:29 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে মার্কিন ধনকুবের এবং নাবালিকা পাচার ও ধর্ষণের মামলায় বিচারাধীন বন্দি এপস্টেইন কীভাবে আত্মঘাতী হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল মার্কিন আইনসভাতেও৷ ময়নাতদন্তের কাজ শেষ হলেও তার রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। আর সেই রিপোর্ট না হাতে না আসা পর্যন্ত এপস্টেইনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব নয়। তবে এপস্টেইনের আত্মহত্যার ঘটনায় ক্রমশই ক্ষোভ ছড়াচ্ছে আমেরিকায়।

[আরও পড়ুন: এপস্টেইনের মৃত্যুতে হাত রয়েছে বিল ক্লিনটনের, বিস্ফোরক টুইট ট্রাম্পের]

Advertisement

অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এপস্টেইনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত ছিলেন। কিন্তু এপস্টেইনের আচমকা মৃত্যুতে তারা পার পেয়ে গেলেন। তবে মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই আশ্বাস দিয়েছে, এপস্টেইন আত্মহত্যা করলেও তদন্তের কাজ থেমে থাকবে না। এই ঘটনায় আর যারা জড়িত রয়েছে তাদের সকলকেই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

Advertisement

সোমবার ফ্রান্সের দুই মন্ত্রীও এপস্টেইনের মৃত্যুর ঘটনায় উপযুক্ত তদন্তের আরজি জানিয়েছেন। প্যারিসে একটি অ্যাপার্টমেন্টের মালিক ছিলেন এপস্টেইন। গত মাসে গ্রেপ্তার হওয়ার ঠিক আগে তিনি প্যারিসেই ছিলেন। তদন্তের কাজে আমেরিকাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ফ্রান্সের শিশুকল্যাণ মন্ত্রী অ্যাডরিন তাকেত। তবে প্যারিসের ওই অ্যাপার্টমেন্টটি এই মামলায় কেন গুরুত্ব পাচ্ছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি অ্যাডরিন। ধর্ষণ ও নাবালিকা পাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত এপস্টেইনের বিচার চলছিল। ৬৬ বছর বয়সি এই ধনকুবেরকে আদালত জামিন দিতে অস্বীকার করে। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে এপস্টেইনের ৪৫ বছরের কারাদণ্ড হত।

এর আগেও একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সে কারণে জেল কর্তৃপক্ষ এপস্টেইনের উপর নজরদারি বাড়িয়েছিল। কিন্তু তার পরেও নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে কীভাবে তিনি আত্মঘাতী হলেন সেটাই ভাবিয়ে তুলছে খোদ এফবিআইকে। আশঙ্কা, নিরাপত্তা কর্মীদের মধ্যে শিথিলতা এসেছিল। সেই সুযোগেই আত্মহত্যা করেছেন এপস্টেইন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার বলেছিলেন, এপস্টেইনের আত্মহত্যার পিছনে রাজনৈতিক চাপ রয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন থেকে শুরু করে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প—সহ বহু মার্কিন রাজনৈতিক নেতার প্রচারে একসময়ে অর্থ জুগিয়েছিলেন এপস্টেইন। তাঁর বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৪০ জন মহিলা যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছেন।

[আরও পড়ুন: কাশ্মীর সীমান্তে জড়ো হচ্ছে পাকিস্তানের সেনা, দাবি পাক সাংবাদিকের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ