সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লড়াই না থামা পর্যন্ত ইজরায়েলের কোনও পণবন্দিকে ছাড়তে রাজি নয় বলে জানিয়েছিল হামাস। যদিও সম্প্রতি তারা জানিয়েছে, ৩৪ জন পণবন্দিকে ছাড়া হবে। কিন্তু ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দাবি, তাঁরা এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানেন না। এহেন পরিস্থিতিতে এবার শোনা গেল ডোনাল্ড ট্রাম্পের গর্জন। তাঁর সাফ কথা, ২০ জানুয়ারি অর্থাৎ তাঁর শপথগ্রহণের আগেই পণবন্দিদের ছেড়ে দিতে হবে হামাসকে। অন্যথায় ‘নরক নেমে আসবে’ মধ্যপ্রাচ্যে।
ফ্লোরিডায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, ”যদি পণবন্দিদের না ফেরানো হয়, নরক নেমে আসবে। আমি চলতে থাকা দরাদরিকে ব্যাহত করছি না। কিন্তু সময়মতো ওরা ফিরে না এলে আমি এই বিষয়ে নাক গলাব। মধ্যপ্রাচ্যে তখন নরক নেমে আসবে।”
সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৪ জন পণবন্দিকে ছাড়তে চলেছে হামাস। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইজরায়েলের মহিলা, শিশু. বয়স্ক এবং অসুস্থ পণবন্দিরা। তবে সেই সঙ্গে এটাও জানানো হয়েছে, এক্ষেত্রে হামাসের একটি শর্ত রয়েছে। পণবন্দিদের সঙ্গে আলোচনা এবং মৃতদের শনাক্ত করতে তাদের এক সপ্তাহ সময় লাগবে। এই সময়ের মধ্যে ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের অনুরোধও করেছে তারা। বহু সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে এমন দাবি করা হয়েছে। কিন্তু নেতানিয়াহু জানাচ্ছেন, হামাসের কাছ থেকে মুক্তি পেতে চলা পণবন্দিদের তালিকা পাঠানো হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টিতে সরাসরি হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার বিশেষ দূত চার্লস উইটকফ গিয়েছিলেন। তিনি সদ্য আমেরিকায় ফিরেছেন। আর তারপরই এই হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হওয়া হামলার বদলা নিয়ে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেন নেতানিয়াহু। তার পর থেকেই লড়াই জারি রয়েছে গাজায়। এবার কি পণবন্দিদের মুক্তির মধ্যে দিয়ে সেই সংঘাতে ইতি ঘটবে? আপাতত সেই উত্তরই খুঁজছে ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.