Advertisement
Advertisement
ভারতীয়র মৃত্যু

মার্কিন মুলুকে নিহত ৪ ভারতীয়, মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা

নিহতদের প্রত্যেকের শরীরে মিলেছে গুলির চিহ্ন৷

Four members of an Indian-origin family shot dead in US
Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 17, 2019 11:50 am
  • Updated:June 17, 2019 11:50 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন মুলুকে নিহত একই পরিবারের চার ভারতীয় নাগরিক৷ এক আত্মীয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয় ভারতীয় দম্পতি এবং তাঁদের দুই পুত্রসন্তানের দেহ৷ প্রত্যেকের দেহে পাওয়া গিয়েছে গুলির চিহ্ন৷ খুন নাকি আত্মহত্যা করেছেন ওই চারজন, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা৷

[ আরও পড়ুন: ফের বড়সড় কম্পন নিউজিল্যান্ডে, সুনামি সতর্কতা জারি করেও প্রত্যাহার]

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলার বাসিন্দা বছর চুয়াল্লিশের চন্দ্রশেখর শংকর৷ উচ্চশিক্ষার জন্য স্ত্রী লাবণ্য এবং সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে মার্কিন মুলুকে চলে গিয়েছিলেন৷ শংকর পাবলিক সেফটি টেকনোলজি সার্ভিসেসে চাকরি করতেন৷ তাঁর বাবা-মা বর্তমানে হায়দরাবাদেই থাকেন৷ স্থানীয় সময় মতে শনিবার সকালে পরিচিত এক ব্যক্তি শংকরের মার্কিন মুলুকের বাড়িতে আসেন৷ সেই সময়  শংকরের বাড়িতেই তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তানের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন৷ ওই দৃশ্য দেখেই বাড়ির উলটো পথে দৌঁড়াতে শুরু করেন শংকরের আত্মীয়৷ এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশে খবর দেন তিনি৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়৷ চন্দ্রশেখর শংকর, একচল্লিশ বছর বয়সি স্ত্রী লাবণ্য, তাঁদের ১৫ এবং ১০ বছর বয়সি দুই সন্তানের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে৷ প্রত্যেকেরই মাথায় পাওয়া গিয়েছে গুলির চিহ্ন৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ফেসবুক লাইভে ‘ক্যাট ফিল্টার’-এর ব্যবহার, সোশ্যাল মিডিয়ায় পাক মন্ত্রীকে ঘিরে তামাশা]

দম্পতি এবং তাঁদের দুই সন্তানের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে৷ আত্মীয়দের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন তদন্তকারীরা৷ অনেকেই বলেছেন, কোনও এক অজ্ঞাত কারণে ইদানীং মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন শংকর৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শংকর একে একে স্ত্রী লাবণ্য এবং দুই পুত্রসন্তানকে গুলি করে খুনের পর আত্মহত্যা করেছেন৷ খুনের সময় বা তার আগে বাড়িতে কেউ ঢুকেছিল সেই প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তদন্তকারীরা৷ মৃত্যুর খবর ইতিমধ্যেই শংকরের বাবা-মায়ের কাছে পৌঁছে গিয়েছে৷ ঘটনার পর থেকে চোখের জলে ভাসছেন মৃতের বৃদ্ধ বাবা-মা৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ