সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলি হানায় সম্ভবত প্রাণ হারিয়েছে হামাসের অন্যতম প্রধান মহম্মদ সিনওয়ার। এমনটাই দাবি করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, এখনও পর্যন্ত অন্তত দশ হাজার জঙ্গি খতম করেছে ইজরায়েলি সেনা।
জেরুজালেমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেছেন, ”আমরা হাজার দশেক জঙ্গি খতম করেছি। আমরা ওই খুনিদের নেতা দেইফ, হানিয়া, ইয়াহিয়া সিনওয়ারকেও নিকেশ করে দিয়েছি। আর সম্ভবত মহম্মদ সিনাওয়ারকে মেরে ফেলা সম্ভব হয়েছে। আমাদের সেনা গাজার আরও আরও এলাকা দখল করে ফেলেছে। শেষপর্যন্ত ওই ভূখণ্ডের সমস্ত অংশই ইজরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।”
কিন্তু এখনও হামাসের কাছে রয়েছে বহু পণবন্দি। তাঁদের কী হবে? নেতানিয়াহুর দাবি, সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে তাঁদের আপত্তি নেই। সেই সময় পণবন্দিদের ফেরানো সম্ভব হবে। কিন্তু অন্যথায় ইজরায়েলি সেনা গাজার পুরোপুরি দখল না নেওয়া পর্যন্ত তাঁরা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দিকে যেতে রাজি নন।
উল্লেখ্য, হামাসের সঙ্গে পণবন্দিদের মুক্তির ২ মাসের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করেছিল ইজরায়েল। সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হতেই নতুন করে নরক দর্শন করেন গাজাবাসী। লাগাতার ইজরায়েলি সেনার হামলায় ছিন্নভিন্ন জনজীবন। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মহিলা ও শিশুরা। ইউনিসেফের পরিসংখ্যান বলছেন, এই যুদ্ধে গাজায় অন্তত ১৫ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জখম ৩৪ হাজার। এবং অন্তত ১০ লক্ষ শিশু ঘরছাড়া! বড়দের পৃথিবীতে এভাবেই গুলি-বোমার ছোবলে বিপন্ন শৈশব। রাষ্ট্রসংঘের মতে গাজা এখন ‘পোস্ট-অ্যাপোক্যালিপ্টিক কিলিং জোন’। অর্থাৎ প্রলয়-পরবর্তী হত্যাক্ষেত্র। প্রায় ১১ সপ্তাহ ধরে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের পথ রুদ্ধ করে রেখেছিল ইজরায়েল। এই মুহূর্তে প্রবেশের অনুমতি মিললেও নেহাতই সামান্য ত্রাণের ক্ষেত্রেই তা মিলছে। এখনই বেশি পরিমাণে ত্রাণ গাজায় প্রবেশ না করতে দিলে মর্মান্তিক পরিণতি হতে চলেছে বলে আশঙ্কা রাষ্ট্রসংঘের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.