সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় অকথ্য অত্যাচারের শিকার হয়েছেন ইজরায়েলের মহিলা ও শিশুরা। কিন্তু রেহাই নেই পুরুষদেরও! ইজরায়েলের পুরুষ পণবন্দিদের ধর্ষণের অভিযোগ হামাসের সমকামীদের বিরুদ্ধে। এই ‘অপরাধে’ নিজেদের সদস্যদেরই কঠোর শাস্তি দিয়েছে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠনটি। ভয়ংকর অত্যাচারের পর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তদের। হামাসেরই এক সূত্র থেকে এই গোপন রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই এমন খবর ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বুকে বেনজির হামলা চালায় হামাস। প্রায় দুশোর উপর রকেট আছড়ে পড়ে। পাশাপাশি ইহুদি দেশটিতে ঢুকে নৃশংস হামলা চালায় জঙ্গিরা। প্রাণ হারান ১২০০ জন। দুশোর উপর মানুষকে পণবন্দি বানিয়ে গাজায় নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায় হামাসের জেহাদিরা। সেখানে যৌন নির্যাতন ছাড়াও অকথ্য অত্যাচারের শিকার হন মহিলারা। যা দেখে শিউরে উঠেছে বিশ্ব। কিন্তু এবার শোনা যাচ্ছে, হামাসের ডেরায় ছাড় মেলেনি পুরুষ বন্দিদেরও। তাদের নাকি ধর্ষণ করেছে সমকামী জঙ্গিরা! হামাসেরই এক সূত্র এমনই দাবি করেছে।
ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, হামাসের অন্তত ৯৪ জন এই ‘অপরাধে’র সঙ্গে যুক্ত। এমনকি ইজরায়েলের পুরুষদের সঙ্গে যৌন উত্তেজক কথাবার্তার পাশাপাশি মেয়েদের সঙ্গে ফ্লার্ট করা এবং যৌন সম্পর্ক স্থাপনেরও অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এই রিপোর্টে শিশুদেরও যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের উল্লেখ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই সমকামী সদস্যদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে হামাসের শীর্ষ নেতারা। নৃশংস অত্যাচারের পর নাকি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তদের।
বলে রাখা ভালো, গাজায় সমকামিতা বেআইনি। এহেন সম্পর্কে জড়ালে কয়েক বছরের কারাদণ্ড এমনকি ফাঁসির সাজাও দেওয়া হয় সেখানে। সমকামিতা হামাসেরও নীতি বিরুদ্ধ। সমকামী সম্পর্কের অভিযোগে ২০১৬ সালে প্রাক্তন হামাস কমান্ডার মাহমুদ ইশতিভিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তার বুকে তিনটি গুলি করা হয়েছিল। তারপর কারাগারে ঝুলিয়ে রেখে প্রায় এক বছর ভয়ংকর অত্যাচার করা হয়েছিল ইশতিভিকে। পুরুষ পণবন্দিদের উপর এই অত্যাচারের খবর প্রকাশ্যে আসতে নতুন করে উদ্বেগ বেড়েছে ইজরায়েলে। এখন যুদ্ধবিরতি চলছে গাজায়। হামাসের ডেরা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন বন্দিরা। তবে এখনও বন্দি রয়েছেন বেশ কয়েকজন। দ্রুত তাঁদের মুক্তির দাবি আরও জোরালো হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.