Advertisement
Advertisement

Breaking News

এইডস

একই সিরিঞ্জে অনেককে ইঞ্জেকশন, এইডস ছড়ানোর অভিযোগে সিন্ধে ধৃত চিকিৎসক

আক্রান্ত ৪০০-র বেশি শিশু।

HIV infects over 400 Pakistani children; doctor accused
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:May 22, 2019 3:36 pm
  • Updated:May 22, 2019 3:36 pm

সুকুমার সরকার: পাকিস্তানের সিন্ধুপ্রদেশে ক্রমাগত বাড়ছে এইডস রোগীর সংখ্যা। এর ফলে আতঙ্কিত হয় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা। সম্প্রতি ইঞ্জেকশন সিরিঞ্জের মাধ্যমে এইডস ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে স্থানীয় শিশু বিশেষজ্ঞ মুজফফর ঘাংগ্রু।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে সিন্ধ প্রদেশের একটি ছোট শহর রাত্তো ডিরোতে অসুস্থ হয়ে পড়ে অনেক শিশু। কিছু অভিভাবক উদ্বিগ্ন হয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে জানান, তাঁদের শিশুদের জ্বর কিছুতেই কমছে না। এর পরের সপ্তাহেই আরও অনেক শিশু একই ধরনের অসুস্থতা নিয়ে হাজির হয়। এর ফলে হতবাক হয়ে পড়েন ওই চিকিৎসক ইমরান আরবানি। প্রাথমিকভাবে কিছু বুঝতে না পেরে ওই শিশুদের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠান। রিপোর্ট আসার দেখা যায় তিনি যে আশঙ্কা করেছিলেন তাই সত্যি। ওই শিশুরা সবাই এইডস আক্রান্ত। যদিও তাদের বাবা-মা কেউই এই রোগে আক্রান্ত নয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন-২৪ বার এভারেস্ট জয় করে বিশ্বরেকর্ড নেপালের শেরপা কামির]

গোটা এলাকায় এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আরও অনেক অভিভাবক ভিড় জমান স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে। রাত্তো ডিরোর হাসপাতালে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১৮ হাজার ৪১৮ জনের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে কমপক্ষে ৬০৭ জন এইডস আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে ৭৫ শতাংশই শিশু। তাতে এক মাস থেকে ১৫ বছর বয়সীরাও রয়েছে। তবে এই প্রথম নয়, ২০১৬ সালেও সিন্ধ প্রদেশের লারকানায় কয়েক হাজার মানুষের রক্ত পরীক্ষা হয়েছিল সরকারি উদ্যোগে। সিন্ধ এইডস নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরীক্ষার পরে ১৫২১ জন শরীরে এইচআইভি ধরা পড়ে। তবে এক্ষেত্রে সংক্রমিতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল পুরুষ। তাই সরকারের তরফে বলা হয়, যৌনকর্মীদের সঙ্গে অসুরক্ষিত যৌন সঙ্গমের ফলেই এইডস-এ আক্রান্ত হয়েছে ওরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন-সর্ষের মধ্যেই ভূত, ইস্টার ডে হামলায় জড়িত সংসদের আধিকারিকই]

সিন্ধ এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রধান ডাক্তার আসাদ মেমন বলেন, “আমি মনে করি এই ভাইরাস তৃতীয় লিঙ্গ ও যৌনকর্মীদের সঙ্গে যৌন সঙ্গম করার পরেই ছড়িয়েছে। তারপর স্থানীয় হাতুড়ে ডাক্তারদের অসতর্কতার কারণে তা অন্য রোগীদের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে।”

পাকিস্তানের প্রত্যন্ত গ্রামে এমন অনেক মানুষ আছে যারা দক্ষ চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে যায়। কারণ, তাতে টাকা কম লাগে। কিন্তু, তাঁদের পরিচালনায় চলা স্থানীয় ক্লিনিকগুলোতে একই ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ একাধিক রোগীর শরীরে পুশ করা হয়। এর ফলে দ্রুত বাড়ছে এইডস-এর প্রভাব। এই কারণে ইতিমধ্যে প্রায় ৫০০টি অনিয়ন্ত্রিত ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ