Advertisement
Advertisement

Breaking News

আইএস

কেন শ্রীলঙ্কায় হামলা চালাল আইএস? চিন্তার ভাঁজ ভারতের কপালেও

যে কোনও সময় রাজনৈতিক অস্থিরতা তীব্র হতে পারে দ্বীপরাষ্ট্রে।

India concerned as terror outfit ISIS strike Sri Lanka
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 24, 2019 9:45 am
  • Updated:April 24, 2019 9:45 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় এক দশক বাদে ফের সন্ত্রাসবাদী হামলায় কেঁপে উঠল দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। বেশ কিছুদিন ধরে শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছিল। এখনও দেশের প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘের মধ্যে সম্পর্ক ‘মধুর’ নয়। যে কোনও সময় রাজনৈতিক অস্থিরতা তীব্র হতে পারে। এইরকম একটা পরিস্থিতিতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ দ্বীপরাষ্ট্রটির মেরুদণ্ড কার্যত নড়িয়ে দিয়েছে। নড়েচড়ে বসেছে ভারতও।

[‘হিন্দুরা কখনও জঙ্গি হতে পারে না’, দাবি অমিত শাহ’র]

Advertisement

শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি দাঁড়িয়ে মূলত পর্যটনশিল্পের উপর। সন্ত্রাসবাদীদের নিশানায় ছিল এই পর্যটনশিল্পই। বিস্ফোরণগুলি ঘটেছে প্রধানত পাঁচতারা হোটেলে, যেখানে এই সময়ে পর্যটকদের ভিড় জমেছিল। বিস্ফোরণে যে ৩০০-র উপর মানুষ নিহত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে বহু পর্যটক রয়েছেন। এমনকী, ভারতীয় পর্যটকও রয়েছেন। এই বিস্ফোরণের পর পর্যটকরা আপাতত বেশ কিছুদিন শ্রীলঙ্কামুখো হবেন না। এটা সে দেশের পর্যটনশিল্পকে দারুণভাবে আঘাত করবে। তাতে বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে যুগপৎ অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিলে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে এক টালমাটাল পরিস্থিতির জন্ম নেবে। দেশটির ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সেখানে কোনওরকম অস্থির পরিস্থিতি ভারতের কাছে কাম্য নয়। শ্রীলঙ্কার হামলার ঘটনা দায় স্বীকার করেছে ‘আইএস’ জঙ্গিগোষ্ঠী। ঘটনা দেখেই প্রাথমিকভাবেই সবার সন্দেহ হয়েছিল যে এটা আইএস জঙ্গিদেরই কাজ। আইএস জঙ্গিরা যদি এভাবে শ্রীলঙ্কায় ঘাঁটি গাড়তে সক্ষম হয়, তাহলে সেটা ভারতের কাছে উদ্বেগের। শ্রীলঙ্কা দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাসবাদ প্রত্যক্ষ করেছে। এলটিটিই জঙ্গিরা দিনের পর দিন বড় বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছে কলম্বো-সহ দ্বীপরাষ্ট্রের অন্যান্য জায়গায়।

Advertisement

এলটিটিই-কে একসময় বলা হত উপমহাদেশের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর। কিন্তু, সাম্প্রতিক যে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ কলম্বোয় হল তার মতো বড় সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা এলটিটিই-ও করেনি। এ ব্যাপারে কোনও সংশয় নেই যে, এলটিটিই-র চেয়ে আইএস জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ও নৃশংসতা অনেক বেশি। তবে কী কারণে আইএস জঙ্গিরা শ্রীলঙ্কাকে তাদের এই ভয়াবহ হামলার জন্য নিশানা বানাল, তা বোঝা যাচ্ছে না। একটি উদ্দেশ্য নিঃসন্দেহে গোটা পৃথিবীর নজরকাড়া। শ্রীলঙ্কায় সব সময়ই গোটা পৃথিবীর পর্যটকরা হাজির থাকেন। ফলে শ্রীলঙ্কার পর্যটনকেন্দ্রে হামলা চালিয়ে গোটা পৃথিবীর নজর কাড়া সম্ভব। পর্যটকদের সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের নিশানায় ছিল চার্চও। সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল খ্রিস্টানদের পবিত্র একটি দিনকেও।

শ্রীলঙ্কায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা নগণ্য। সন্ত্রাসবাদী হামলাটা যেভাবে চালানো হয়েছে, যেভাবে বিস্ফোরক গোটা দ্বীপরাষ্ট্রে জড়ো করা হয়েছিল সেটা যেমন আইএস-এর মতো একটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ছাড়া করা সম্ভব ছিল না, তেমনই স্থানীয় কিছু লোকের যোগসাজশ ছাড়া এটা সম্ভব নয়। এই স্থানীয় যোগসাজশের বিষয়টিও নিকটতম প্রতিবেশী হিসাবে ভারতকে চিন্তায় রাখবে।

[ক্রাইস্টচার্চের বদলা! শ্রীলঙ্কায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের দায় স্বীকার আইএসের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ