Advertisement
Advertisement

Breaking News

শ্রীলঙ্কা

শ্রীলঙ্কায় হামলার নেপথ্যে পাক জেহাদিরা, আগেই সতর্ক করেছিল ভারত

কোথায় ছিল গলদ, উঠছে প্রশ্ন।

India warned Sri Lanka of impending terror strike: Sources
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 23, 2019 12:44 pm
  • Updated:April 23, 2019 12:44 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘যে কোনও মুহূর্তে হতে পারে বড়সড় হামলা।’ ইস্টার ডে নাশকতার বেশ কিছুদিন আগেই শ্রীলঙ্কার গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে এই সতর্ক বার্তা পৌঁছে দিয়েছিল ভারত। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সাফ জানিয়েছিল, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত (এনটিজে) নাশকতার ছক কষছে। তবে এত কিছুর পরও এড়ানো যায়নি রাজধানী কলম্বোয় ঘটা ধারাবাহিক বিস্ফোরণ। 

[শ্রীলঙ্কায় বিস্ফোরণে নিহত ১৩৮ মিলিয়ন! ট্রাম্পের টুইটে তুঙ্গে বিতর্ক]

Advertisement

সূত্রের খবর, প্রায় এক দশক ধরে শ্রীলঙ্কাই শক্তি বৃদ্ধি করছে লস্কর-ই-তইবা। ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে জেহাদি সংগঠনটিকে মদত দিচ্ছে পাক কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। ২০১৬ সালে সিরিয়া, আফগানিস্তান, মায়ানমার ও সোমালিয়া-সহ দ্বীপরাষ্ট্রে উপস্থিতির কথা জানিয়েছিল লস্করের ‘সমাজসেবামূলক শাখা’ ‘ফলাহ-ই-ইনসানিয়াত’। এদিকে বিস্ফোরণের তদন্তে ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত-এর নাম উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি আল কায়দা-র সঙ্গে যোগ রয়েছে এনটিজে-র। বিশ্বজুড়ে জেহাদে যোগ দেওয়ার জন্য শ্রীলঙ্কা থেকে যুবকদের সন্ত্রাসবাদী দলে যোগ দেওয়ানোর কাজ করছে সংগঠনটি। মার্কিন সংবাদমধ্যম সূত্রে খবর, এপ্রিলের ৪ তারিখেই শ্রীলঙ্কাকে সন্ত্রাসবাদী হানার সতর্কবার্তা দেয় ভারত। তবে সেইমতো ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয় দ্বীপরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনী। 

Advertisement

উল্লেখ্য, ইস্টার সানডে-র ভয়াবহ হামলার পর দুনিয়া জুড়ে তাবড় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি নড়েচড়ে বসেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল, এলটিটিই হয়তো পূর্ণ শক্তি নিয়ে ফিরে এল। কিন্তু তামিল টাইগারদের পূর্ণ শক্তিতে ফিরে আসা খুব কঠিন। কারণ এখনকার পরিস্থিতি ও শর্ত তামিলদের ইলম (স্বাধীন দেশ) গঠনের পক্ষে মোটেই সহায়ক নয়। এদিকে, রোহিঙ্গারা মায়ানমারে এবং সিংহলি মুসলিমরা শ্রীলঙ্কায় অস্ত্র হাতে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চালাচ্ছে। শ্রীলঙ্কায় মুসলিমরা চিনের জিনজিয়াং প্রদেশের বা মায়ানমারের আরাকানের মুসলিমদের মতো এতটা সংঘবদ্ধ না হলেও তাদের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন’ দানা বাঁধছে। তা যথারীতি জেহাদের আকার নিচ্ছে। তাতে থাকছে সেই খিলাফতের মোহ। খিলাফত অর্থাৎ ইসলামের নামে সাম্রাজ্য তৈরির আকর্ষণ যেখানে অ-মুসলমানদের কোনও জায়গাই থাকবে না। শ্রীলঙ্কায় এই কাজটা করছে এনটিজে (ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত)। শ্রীলঙ্কার গোয়েন্দাদের দাবি, এরা হল ইসলামিক স্টেটের ছায়া সংগঠন। এরাই দ্বীপরাষ্ট্রে খিলাফত আমদানি করেছে। এরাই হল এলটিটিই-র নব্য উত্তরসূরি।             

                      [ব্রেকফাস্টের প্লেট হাতেই আত্মঘাতী হামলা! তদন্তে স্পষ্ট ইসলামিক জঙ্গি যোগ]                            

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ