Advertisement
Advertisement
Donald Trump

ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার! গণতন্ত্র রক্ষায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনছেন ডেমোক্র্যাট সাংসদ

'জেদি' ট্রাম্পের নানা পদক্ষেপেই বেজায় চটেছে বিরোধীরা।

Indian-American lawmaker explains why he wants to impeach Donald Trump
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:April 29, 2025 10:55 am
  • Updated:April 29, 2025 10:59 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে একের পর এক আদেশনামা জারি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাফ জানিয়েছেন, জন্মসূত্রে আর মিলবে না মার্কিন নাগরিকত্ব। যা নিয়ে আদালতের ভৎর্সনার মুখেও পড়েছেন তিনি। চলছে মামলা। এছাড়া একাধিক জায়গায় স্বাস্থ্যখাতে অনুদান বন্ধ করে দিয়েছেন, মানবিক সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রেও কাটছাঁট করেছেন। আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য তাঁর নয়া শুল্কনীতি। যার প্রভাব পড়ছে বিশ্ব বাণিজ্যে। ‘জেদি’ ট্রাম্পের এই সব পদক্ষেপেই বেজায় চটেছে বিরোধীরা। এবার দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট সাংসদ শ্রী থানেদার! তাঁর অভিযোগ, ট্রাম্প নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন।

গত বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লাল ঝড় উঠেছিল। সেনেট আর হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস, দুটোই জিতে নিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থীরা। কিন্তু এর মাঝেও নিজেদের আসন ধরে রেখেছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থীরা। যার মধ্যে শ্রী থানেদার অন্যতম। ২০২২ সাল থেকে মিশিগান আসনের ডেমোক্র্যাট সাংসদ তিনি। জানা গিয়েছে, এবার থানেদার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনতে চলেছেন। তার জন্য কয়েকটি খসড়াও তৈরি করে ফেলেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে থানেদার জানিয়েছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আমি ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনব। সেই সংক্রান্ত খসরাও তৈরি। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব, অনুদান এরকম একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পদক্ষেপ করেছেন যা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। তিনি তাঁর পদ আর ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার করছেন। আদালত ওঁর রাজনীতি করার জায়গা নয়। এর আমাদের গণতন্ত্র বিপন্ন হবে, গণতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে পড়বে। অনেক হয়েছে, আর নয়।’

Advertisement

প্রসঙ্গত, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে দুর্নীতি, ঘুষ, বেআইনি কার্যকলাপ, অসদাচরণের অভিযোগে কোনও ব্যক্তিকে তাঁর সাংবিধানিক পদ থেকে সরাতে হলে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, এর আগেও ইমপিচ করা হয়েছে ট্রাম্পকে। ২০১৯ সালেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার ও মার্কিন কংগ্রেসের কাজে বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগে ইমপিচ করা হয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। কিন্তু সেবার মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে অপসারণের প্রস্তাব পাশ হলেও তা আটকে গিয়েছিল সেনেটে। তারপর ২০২০ সালে ক্যাপিটল বিল্ডিং হামলার ২০২১ সালে তাঁকে ইমপিচ করে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ। অমেরিকার ইতিহাসে ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট যাঁকে দু’বার ইমপিচ করা হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement