Advertisement
Advertisement
হার্লে ডেভিডসন

বিবাদের কেন্দ্রবিন্দু বিখ্যাত হার্লে ডেভিডসন, ভারতের উপর ক্ষিপ্ত ট্রাম্প

দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক ‘মজবুত’ করতে আসছেন বিদেশসচিব পম্পেও৷

India's 50% import tariff on Harley Davidson unacceptable, says Trump
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:June 12, 2019 9:40 am
  • Updated:June 12, 2019 9:40 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের নানা বিষয় নিয়ে স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্টের অসন্তোষ প্রকাশ। অন্যদিকে, আসন্ন ভারত সফরে নয়াদিল্লির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে নানা পদক্ষেপের ভাবনা মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেওর। দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ভারত সংক্রান্ত নীতি ঠিক করতে গিয়ে রীতিমতো বেসামাল আমেরিকা। চিনের ভয়ে যেমন নয়াদিল্লিকে চটানো যাচ্ছে না, তেমনই মার্কিন স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করতেও চাইছে না ট্রাম্প প্রশাসন। তারই রেশ পড়ছে দুই শীর্ষ কর্তার মন্তব্যে।

[আরও পড়ুন: ফের সাম্প্রদায়িক সংঘাতে রক্তাক্ত মালি, নিহত অন্তত ১০০]

Advertisement

আমেরিকা থেকে আমদানি করা মোটর সাইকেলের ওপর শুল্ক কমিয়ে অর্ধেক করেছে ভারত। আগে একশো শতাংশ শুল্ক নেওয়া হত। এখন নেওয়া হচ্ছে ৫০ শতাংশ। কিন্তু তাতেও খুশি নন ট্রাম্প। তিনি মনে করেন, ভারতে মার্কিন মোটর সাইকেলের উপর যে শুল্ক বসানো হয়, তার হার এখনও বেশ চড়া। ট্রাম্পের দাবি, তাঁর আমলে আমেরিকাকে কেউ বোকা বানাতে পারবে না। তাঁর কথায়, “আমরা বোকা নই যে সবাই আমাদের ক্ষতি করবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমার খুব ভাল বন্ধু। কিন্তু তাদের কাজকর্ম বিশেষ সুবিধার নয়। তারা মোটর সাইকেলের ওপরে একশো শতাংশ ট্যাক্স বসিয়েছে। তার বদলে আমরা তাদের থেকে কিছুই নিচ্ছি না।” যে কোনও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককেই ট্রাম্প অর্থনীতির দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন। তাই ভাল বন্ধু ভারতকে ‘শুল্কের রাজা’ বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি। আগামী ২৮-২৯ জুন জাপানের ওসাকায় জি ২০ সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প-মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। সেখানেও এই প্রসঙ্গ উঠতে পারে।

Advertisement

ট্রাম্প আমেরিকার হার্লে ডেভিডসন মোটর সাইকেলের কথা বলতে চেয়েছেন। তিনি চান, ভারত এই মোটর সাইকেলের উপর থেকে শুল্ক একেবারে তুলে নিক। এই সংঘাতের আবহের মধ্যেই ২৪ জুন নয়াদিল্লি আসছেন মার্কিন বিদেশসচিব পম্পেও। দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের শক্তি প্রদর্শনের মধ্যে সেখানে ভারতকে পাশে নিয়েই চলতে চায় আমেরিকা। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উন্নতি সাধন এই সফরের অন্যতম লক্ষ্য।

[আরও পড়ুন: তছরুপের দায়ে গ্রেপ্তার প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ