Advertisement
Advertisement
MQ-9 Reaper drone

মার্কিন MQ-9 ড্রোন গুলি করে নামাল ইরান, এবার সরাসরি যুদ্ধে সামিল আমেরিকাও!

ইরানের আকাশে মার্কিন ড্রোনের আনাগোনা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

Iran downs US MQ-9 Reaper drone over Ilam province

মার্কিন ড্রোন MQ-9 ড্রোন।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:June 16, 2025 5:50 pm
  • Updated:June 16, 2025 6:38 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে চলতে থাকা সংঘাতে এবার কী সরাসরি সামিল হল আমেরিকা? বিধ্বংসী মার্কিন ড্রোন MQ-9 ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে বলে সোমবার দাবি করা হয়েছে ইরানের তরফে। ইরানের আকাশে মার্কিন ড্রোনের আনাগোনা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কী ইরানকে ধরাশায়ী করতে ইজরায়েলের সঙ্গ নিয়ে সরাসরি হামলার পথ নিলেন ট্রাম্প?

Advertisement

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইরান-ইরাক সীমান্তবর্তী ইরানের ইলাম প্রদেশে ইরানের সেনাবাহিনী গুলি করে নামায় এই MQ-9 ড্রোন। ফার্স নিউজ এজেন্সির দাবি অনুযায়ী দেহলোরান শহরের উপরে ড্রোনটি ধ্বংস করা হয়েছে। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘তাস’-এর দাবি অনুযায়ী, ওই অঞ্চলের ডেপুটি গর্ভনর নিশ্চিত করেছেন ড্রোনটি মার্কিন সেনাবাহিনীর। সেটি ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল। যার জেরেই সেটি গুলি করে নামানো হয়। তবে ড্রোনটি হামলার উদ্দেশে ইরানে ঢুকেছিল নাকি নজরদারি চালানোর জন্য এই অনুপ্রবেশ তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গত শুক্রবার ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালানো হয় ইজরায়েলের তরফে। এই হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্তাদের পাশাপাশি ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকে নিখুঁত পরিকল্পনায় হত্যা করে ইজরায়েল। এই ঘটনার পর ফের মধ্যপ্রাচ্যে বেজে উঠেছে যুদ্ধের দামামা। ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই জানিয়েছেন এই হামলার আগাম খবর ছিল তাদের কাছে। যদিও ইরানের উপর ইজরায়েলের এই হামলায় তাদের কোনও হাত নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি ইরান আমেরিকার উপর হামলা চালায় তাহলে ইরানকে এমন শিক্ষা দেওয়া হবে যা তারা স্বপ্নেও ভাবতে পারবে না।

এদিকে ইজরায়েলের হামলার জবাবে ইরানের পালটা হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইজরায়েল। এমনকী সেখানে মার্কিন দূতাবাসের সামনে আছড়ে পড়েছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন দূতাবাস। এই পরিস্থিতির মাঝেই ইরানের আকাশপথে মার্কিন ড্রোনকে অশনিসংকেত হিসেবে দেখছেন যুদ্ধ বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, গোটা পরিস্থিতি নজরে রেখে ভারত মহাসাগরের দিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপে নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে আমেরিকা। যা বড়সড় যুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, MQ-9 রিপার আমেরিকার এক মারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রোন। নজরদারি চালানোর পাশাপাশি যে কোনও জায়গায় হামলা চালাতে এর জুড়িমেলা ভার। স্যাটেলাইট নির্ভর এই ড্রোনে রয়েছে ৬টি স্টোর পাইলন। যেখানে ৯১ কেজি থেকে ৬৮০ কেজি পর্যন্ত বিস্ফোরক বহন করা যায়। একাধিক মিসাইল বহন করতেও সক্ষম এই ড্রোন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement