সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৌদি তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। একএ অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পালটা অভিযোগে সরব আমেরিকা ও ইরান। এহেন পরিস্থিতিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্তাকে উদ্ধৃত করে একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনির নির্দেশেই ওই হামলা চালানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘হাউডি মোদি’ জনসভা ঘিরে সাজ সাজ রব আমেরিকায়, মোদিকে স্বাগত জানালেন গাবার্ড]
সৌদি তেল শোধনাগারে হামলার প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বের তেলের বাজারে। সৌদির সরকারি কোম্পানি আরামকোর কারখানায় বিস্ফোরণের পরে গোটাবিশ্বে জ্বালানি তেলের সরবরাহ ৫ শতাংশেরও বেশি কমে গিয়েছে।জোগান কমে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে তেলের দাম। ক্রমেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানির মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে। মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও আগেই বলেছেন, ওই হামলা যুদ্ধ ছাড়া আর কিছু নয়। শুক্রবার সৌদি আরবের জেড্ডায় যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে পম্পেও বলেন, ‘সৌদি আরবের আত্মরক্ষার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে।’ এই আবহে ওই মার্কিন চ্যানেলটি জানিয়েছে, খামেনি নাকি হামলায় সম্মতি দিয়েছিলেন এই শর্তে যে, তেল শোধনাগারে ড্রোন-হানার পরে যেন কোনও অবস্থাতেই বোঝা না যায়, তাতে ইরানের কোনও ভূমিকা রয়েছে। এই তথ্য কোথা থেকে মিলল বা ওই মার্কিন আধিকারিকটি কে, সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি চ্যানেলটি।
এদিকে, আমেরিকার দাবি উড়িয়ে পালটা হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরানও। পম্পেওর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জ়রিফও বলেছেন, আমেরিকা এবং তার উপসাগরীয় মিত্র দেশ ইরানে হামলার কথা ভাবলে তাঁরাও চুপ থাকবেন না। জাভেদের কথায়, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। কিন্তু আত্মরক্ষার স্বার্থে আমরাও এক মুহূর্ত ভাবব না।’ সব মিলিয়ে, কার্যত বারুদের স্তূপের উপর বসে রয়েছে গোটা মধ্যপ্রাচ্য। একটি স্ফুলিঙ্গ পেলেই যেকোনও মুহূর্তে ঘটবে প্রচণ্ডই বিস্ফোরণ। আর তার উত্তাপ পড়বে গোটা বিশ্বে।
[আরও পড়ুন: ‘হাউডি মোদি’র ইমরানের সঙ্গেও বৈঠক, ফের কাশ্মীর ইস্যুতে নাক গলাচ্ছেন ট্রাম্প!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.