Advertisement
Advertisement
Gaza

পেটে খিদে বুকে বুলেট! গাজায় ত্রাণ পাওয়ার মরিয়া ভিড়ে গুলি ইজরায়েলি সেনার, মৃত ৩০

গাধায় টানা গাড়িতে করে বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মৃতদেহ।

Israeli forces open fire near Gaza aid centre, 30 killed
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:June 1, 2025 2:04 pm
  • Updated:June 1, 2025 2:04 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: থালা হাতে ত্রাণের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বুভুক্ষদের ভিড়ে এলোপাথাড়ি গুলি ইজরায়েলি সেনার। দক্ষিণ গাজার রাফায় এই মর্মান্তিক হামলায় মৃত্যু হল অন্তত ৩০ জনের। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১১৫। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ইহুদি সেনার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Advertisement

গত আড়াই মাস ধরে গাজা অবরুদ্ধ করে অভিযান চালাচ্ছিল ইহুদি সেনা। গুরুতর এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের চাপের মুখে পড়ে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেইমতো সেখানে বিভিন্ন দেশ থেকে পাঠানো হচ্ছে ত্রাণ সামগ্রী। তবে দুর্ভিক্ষপীড়িত গাজায় ত্রাণ পাঠাতে গিয়ে রীতিমতো সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে সাহায্যকারী সংগঠনগুলিকে। বুভুক্ষের দলের ভিড়ে তৈরি হয়েছে ট্রাক লুটের মতো পরিস্থিতি। রবিবার সকালে আমেরিকার তরফে ত্রাণ বোঝাই ট্রাক পাঠানো হয়েছিল গাজায়। অভিযোগ, সেখানে খাবার নিতে আশা মানুষের ভিড়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় ইজরায়েলের সেনা।

সেই হত্যাকাণ্ডের পর সোশাল মিডিয়ায় একাধিক ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, গাধায় টানা গাড়িতে করে বোঝাই করে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় গাজার মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই হামলার ঘটনায় ইহুদি সেনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে হামাস। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “তথাকথিত ‘মানবিক সাহায্য’ বিলির স্থানে জড়ো হওয়া ক্ষুধার্ত মানুষদের ভিড়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে গণহত্যা করা হল।” হামাস এই ত্রাণকে মানবিক সাহায্য নয় মৃত্যু ফাঁদ বলে উল্লেখ করেছে। তবে ত্রাণ বিলি কেন্দ্রে এই ঘটনা প্রথমবার নয়, এর আগেও ত্রাণ বিলি কেন্দ্রে ইজরায়েলি সেনার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে অসংখ্য মানুষের।

গাধায় টানা গাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মৃতদেহ।

উল্লেখ্য, এক রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে গাজার সাম্প্রতিক করুণ প্রতিচ্ছবি। দাবি করা হয়েছে, গাজার ২০ লক্ষ বাসিন্দার মধ্যে বেশিরভাগই ভয়ংকর অপুষ্টির শিকার। ত্রাণ না পৌঁছলে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেখানে ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। এর পরই গাজার ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দেয় ইজরায়েল। যদিও উত্তর গাজায় ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি ইজরায়েলের তরফে। কারণ ওই অঞ্চলে গাজার বাসিন্দাদের উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement