Advertisement
Advertisement
Israel

ফের গাজায় অগ্নিবর্ষণ ইহুদি সেনার, ১৩ শিশু-সহ মৃত অন্তত ৩০!

কোনওপক্ষই যুদ্ধ থামাতে সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না, অভিযোগ কাতারের।

Israeli strikes kill dozens across Gaza, Lebanon, including children
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:November 10, 2024 5:02 pm
  • Updated:November 10, 2024 5:02 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধের এক বছর পেরিয়ে গেলেও শান্তির নাম-গন্ধ নেই। রবি সকালে ফের গাজায় বেলাগাম বোমাবর্ষণ করল ইজরায়েলের বায়ুসেনা। মারণ হামলায় উত্তর গাজার জাবালিয়া ও সাবরায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে দাবি সেখানকার প্রশাসনের। মৃতদের মধ্যে ১৩ জন শিশু বলে জানা যাচ্ছে। অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের মাটিতে হামলা চালিয়েছিল হামাস জঙ্গিরা। তার পর থেকে লাগাতার গাজার মাটিতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইহুদি সেনা। রিপোর্ট বলছে, গত এক বছরে লাগাতার হামলার জেরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪৩ হাজার মানুষের। যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি মহিলা ও শিশু। শুধু তাই নয় প্যালেস্টাইনের ৯০ শতাংশ মানুষ গৃহহারা হয়েছেন এই হামলায়। কাতারের তরফে যুদ্ধ বিরতির চেষ্টা করা হলেও কোনও ফল হয়নি। যার পরিণতি গাজার মাটিতে লাগাতার বিমান হামলার পাশাপাশি উত্তর গাজার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছে ইজরায়েল সেনা। ফলে সামরিক অভিযানে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

Advertisement

রবিবার জাবালিয়ায় বিমান হামলা প্রসঙ্গে ইজরায়েল সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ওই এলাকায় গোপনে ডেরা বানাচ্ছিল হামাস বাহিনী। যার জেরেই এই হামলা চালানো হয়। জাবালিয়ায় ইহুদি সেনার হামলায় মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। এছাড়া গাজা শহরের নিকটবর্তী সাবরাতেও বায়ুসেনার অভিযানে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে শুধু গাজা নয়, হামলা জারি রয়েছে লেবাননেও। সেখানকার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাজধানী বেইরুট থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে আলমাত গ্রামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে তিন জন শিশু। এদিকে উত্তর গাজার পাশাপাশি দক্ষিন ও পূর্ব গাজাতেই জারি রয়েছে হামলা। শনিবার পূর্ব গাজার এক স্কুলে হামলা চালানো হয় যার জেরে ৬ জনের মৃত্যু হয়। খান ইউনিসেও একটি ত্রাণ শিবিরে হামলার অভিযোগ উঠেছে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে।

এদিকে এই যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকায় নেমেছে কাতার। যদিও তাদের তরফে জানা যাচ্ছে, কোনওপক্ষই যুদ্ধ থামাতে সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না। ১০ দিন আগেও দুই পক্ষকে আলোচনায় বসার আবেদন জানিয়েছিল কাতার। তবে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এই অবস্থায় কাতারের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শান্তি প্রক্রিয়া তখনই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে যখন দুই তরফের থেকেই শান্তির সদিচ্ছা দেখা যাবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement