Advertisement
Advertisement
Justin Trudeau

‘নিজ্জর খুনে দায়ী সম্ভবত ভারতই’, সাংবাদিকদের সামনে বিস্ফোরক ট্রুডো!

কানাডা সরকারের অখণ্ডতাকে আক্রমণ করেছে ভারত, মত সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর।

Justin Trudeau makes statement on Nijjar killing and expelling Canada diplomats
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:October 15, 2024 9:07 am
  • Updated:October 15, 2024 4:00 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানাডা সরকারের অখণ্ডতাকে আক্রমণ করেছে ভারত! বিস্ফোরক দাবি করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তাঁর দাবি, হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতীয় কূটনীতিকদের যুক্ত থাকার স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে কানাডা পুলিশের কাছে। কিন্তু সেই নিয়ে অটোয়া আলোচনা করতে চাইলেও অসহযোগিতা করেছে নয়াদিল্লি। উলটে তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণও করা হয়েছে বলে দাবি ট্রুডোর। সাফ জানিয়েছেন, নিজ্জরের সম্ভাব্য খুনি ভারতই।

সোমবার কানাডার তদন্তকারী সংস্থা দাবি করে, ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয়কুমার বর্মা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ‘স্বার্থ সম্পর্কিত ব্যক্তি’। কূটনৈতিক রক্ষাকবচ থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি। তার পরেই কানাডা সরকারের নিশানায় থাকা ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সঞ্জয়কুমার বর্মা ও অন্যান্য কূটনীতিকদের দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দিল্লিতে থাকা কানাডার ৬ কূটনীতিবিদকে দেশ ছাড়তে বলে বিদেশমন্ত্রক। শনিবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে এদেশের মাটি ছাড়তে হবে তাঁদের। এই তালিকায় রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার স্টুয়ার্ট রস হুইলার। ডেপুটি হাই কমিশনার প্যাট্রিক হেবার্ট। এছাড়া ৪ সচিবও রয়েছেন।

Advertisement

ভারতের এই ঘোষণার পর পালটা দিয়ে ৬ ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে কানাডাও। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই নিজ্জর খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ট্রুডো। সেখানে সাফ জানিয়ে দেন, ভারত যেভাবে কানাডার কূটনীতিকদের প্রতি আচরণ করেছে সেটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। কানাডার তরফ থেকে বারবার ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও নয়াদিল্লির তরফে সদুত্তর মেলেনি বলে দাবি ট্রুডোর। সেই কারণেই সরাসরি ৬জন ভারতীয় কূটনীতিকের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রমাণ-সহ অভিযোগ পেশ করে কানাডার পুলিশ।

ভারতের সঙ্গে কানাডার সুসম্পর্কের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ট্রুডোর দাবি, “আমরা চেয়েছিলাম ভার‍ত পুরো বিষয়টি মেনে নিক এবং আমাদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করুক। সেই জন্যই তদন্তের প্রত্যেকটি পর্যায়ে আমরা নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতের তরফে কোনও সহযোগিতা মেলেনি। গত বছর সংসদে দাঁড়িয়ে আমি যা ভাষণ দিয়েছি তার পর থেকে ভারত কেবলই গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছে। আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছে। প্রশ্ন তুলেছে কানাডার সরকার নিয়েও।” সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে ট্রুডো সাফ জানিয়েছেন, নিজ্জর খুনে সম্ভবত দায়ী ভারতই। তাই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পদক্ষেপ করাটা তাঁর দায়িত্ব। তবে ট্রুডোর এমন বিস্ফোরক মন্তব্যের পালটা দেয়নি ভারত।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement