ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সেই সঙ্গেই ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান দল লিবারাল পার্টির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সের দলনেতার পদও ছাড়ছেন বলে ঘোষণা করেছেন জাস্টিন ট্রুডো। এবার জানা গেল কানাডার পরবর্তী নির্বাচনে ভোটেই দাঁড়াচ্ছেন না তিনি। যা ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে অনেকেই মনে করছেন, রাজনীতিকেই ‘টা টা’ করে দিতে চাইছেন ট্রুডো। যদি সেটাই সত্যি হয়, তাহলে নিশ্চিত ভাবেই বিষয়টা অভাবনীয় হবে। কেননা এক দশক আগে এক তরুণ, কর্মতৎপর নেতা হিসেবে উত্থানের পর এত দ্রুত রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেবেন ট্রুডো, এটাকে ‘ট্র্যাজেডি’ হিসেবেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আমি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার। এরপর আমি কী করব, সে বিষয়ে সত্যিই আমি ভেবে ওঠার সময় পাইনি। আমি এতদিন সেই কাজটাই মন দিয়ে করেছি, যেটা করার জন্য কানাডাবাসী আমাকে নির্বাচিত করেছিলেন।” ২০১৫ সাল থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ট্রুডো। কিন্তু এবার জনপ্রিয়তার গ্রাফ নিম্নমুখী দেখেই কি ‘অভিমানী’ রাজনীতিবিদ রাজনীতির মঞ্চ থেকেই অন্তর্হিত হতে চাইছেন। উঠছে প্রশ্ন।
দীর্ঘদিন ধরে দেশে-বিদেশে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিরোধীরা তো বটেই, দলের মধ্যে থেকেই উঠছে গদি ছাড়ার আওয়াজ। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে কানাডার সাধারণ নির্বাচন। সমীক্ষা বলছে, সেখানে বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে ট্রুডোর লিবারাল পার্টি। বিপুল ভোটে জয় পেয়ে মসনদে বসতে চলেছে কনজারভেটিভরা, এমনটাই শোনা যাচ্ছে কানাডার রাজনৈতিক মহলে। এমন টালমাটাল অবস্থার জন্য ট্রুডোর দিকেই আঙুল তুলছে দলের একটা বড় অংশ। তার মধ্যে কয়েকদিন আগে ইস্তফা দিয়েছেন ট্রুডো সরকারের অর্থমন্ত্রী তথা উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। সবমিলিয়ে প্রবল চাপে পড়ে ইস্তফা দিয়েছেন ট্রুডো। আপাতত, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালাবেন তিনি। আগামী ২৪ মার্চের মধ্যে তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন করবে দল। এই ক’দিন স্থগিত থাকবে সংসদের অধিবেশন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.