Advertisement
Advertisement

মহরমের অনুষ্ঠানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কারবালায়, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৩১

জখম শতাধিক, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান৷

More than 30 killed in mass stampede at Iraqi Karbala Shia shrine
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 11, 2019 8:50 am
  • Updated:September 11, 2019 8:51 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরাকে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল অন্তত ৩১ জনের। মঙ্গলবার মহরম মাসের দশম দিনে আসুরা দিবস পালন করার সময় প্রবল ভিড়ের চাপে কারবালা শহরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ইরাক প্রশাসন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী শেষ পাওয়া খবরে মৃতের সংখ্যা ৩১। তবে এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

[ আরও পড়ুন: হাতিয়ার রাহুল-ওমরের মন্তব্য, রাষ্ট্রসংঘে ভারতকে প্যাঁচে ফেলতে তৎপর পাকিস্তান ]

Advertisement

প্রতি বছরের মতোই এ বছরও আসুরা দিবস পালন করতে রাজধানী বাগদাদ থেকে প্রায় ১০০ কিমি দূরের কারবালা শহরে শুরু হয় জন সমাগম। ইরাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র সইফ আল বদর জানিয়েছেন, প্রবল ভিড়ের চাপে অন্তত পক্ষে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক। তাঁর আশঙ্কা, ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। সাম্প্রতিক অতীতে এমন ভয়াবহ পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা আসুরা অনুষ্ঠানে হয়নি। ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে হজরত মহম্মদের নাতি ইমাম হুসেনের মৃত্যু হয়। প্রতি বছর মহরম মাসের নবম ও দশম দিনে পয়গম্বর মহম্মদের নাতি হুসেনের মৃত্যুর স্মরণে কারবালায় হাজির হন কয়েক লাখ শিয়াপন্থী ভক্ত। তরোয়াল দিয়ে নবীন ভক্তরা নিজেদের শরীর চিরে রক্তাক্ত হন। আসুরা দিবসে এমনই দৃশ্য কারবালার মতোই দেখা যায় দক্ষিণ ইরাকের নজফ ও বসরা শহরেও। বিশ্বের নানা প্রান্তেই শিয়াপন্থীরা নিজেদের শরীর রক্তাক্ত করে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য দেখান। ইরাকের পাশাপাশি ইরান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভারত, লেবাননের মতো দেশেও এই দিনটি পালিত হয়। প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী এদিন প্রায় ত্রিশ লক্ষ ভক্ত সমাগম হয় কারবালায়। হুসেনের নামাঙ্কিত স্বর্ণালী সৌধটি ঘিরে অনুগতদের প্রদক্ষিণের সময় হঠাৎই একটি তোরণ ভেঙে পড়লে, আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন উপস্থিত মানুষজন। তাতেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: চলন্ত বিমানের সিটজুড়ে ঘুমোচ্ছে স্ত্রী, ৬ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রইলেন স্বামী ]

ইরাকের একনায়ক সুন্নিপন্থী সাদ্দাম হুসেনের শাসনকালে আসুরা দিবসে প্রকাশ্যে কারবালাতে যুদ্ধের দৃশ্য অভিনয় করার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়। বর্তমান প্রশাসন অবশ্য বিশেষ দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করেছে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে এই দিনে কারবালায় বহু মানুষের জমায়েত হয়। ছদ্ম যুদ্ধের আবহে দেহ রক্তাক্ত করে আল্লাহর উদ্দেশে নিজেদের উৎসর্গ করার পাশাপাশি বিশালাকার সজ্জিত তাজিয়া নিয়েও হয় শোভাযাত্রা। তবে এ বছর মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও আমেরিকার মধ্যে পরমাণু শক্তি নিয়ে চাপান-উতোরের মাঝেই এসে পড়েছে মহরমের দিন। ফলে চাপা উত্তেজনার আবহও রয়েছে। ২০০৪ সালে কারবালার কাছে পর পর কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটলে ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। পরের বছর টাইগ্রিস নদীর উপর শিয়াদের অন্য একটি অনুষ্ঠানের সময় ব্রিজ ভেঙে পড়লে ৯৬৫ জনের মৃত্যু হয়। সেই সময়েও বিস্ফোরণের ভুয়ো খবর ছড়ায় ফলে ঘটনার ভয়াবহতা বৃদ্ধি পায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ