Advertisement
Advertisement

Breaking News

Afghanistan

Taliban Terror: গণতন্ত্র নয়, আফগানিস্তান চলবে শরিয়ত আইনে, সাফ কথা তালিবানের

'ইসলামিক আমিরশাহীতে সংখ্যালঘু ও মহিলাদের পরিণাম কী হতে চলেছে তা স্পষ্ট।

No democracy only Sharia in Afghanistan, says Taliban leader | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 19, 2021 11:39 am
  • Updated:August 23, 2021 8:56 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণতন্ত্র নয়, আফগানিস্তান চলবে শরিয়ত আইন মেনে। স্বমেজাজে ফিরে সাফ জানিয়ে দিল তালিবান (Taliban)। ফলে ‘ইসলামিক অমিরশাহী’ বা ‘ইসলামিক এমিরেটস অফ আফগানিস্তান’-এ সংখ্যালঘু ও মহিলাদের পরিণাম কী হতে চলেছে তা স্পষ্ট।

[আরও পড়ুন: Afghanistan Crisis: তালিবান নিয়ে ভারতের অবস্থান কী? মুখ খুললেন জয়শংকর]

গত শনিবার রাজধানী কাবুলে বন্যার জলের মতো ঢুকে পড়ে তালিবান। প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে যান দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি। তারপর কেটে গিয়েছে দিন চারেক। মহিলাদের অধিকার ও মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছে তালেব নেতারা। আন্তর্জাতিক মহলে পরিচিত তালিবানের খানিকটা ‘নরম মুখ’ সুহেল শাহিনও শান্তি ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছে। যদিও দোহায় অনুষ্ঠিত শান্তি প্রক্রিয়ার মতো এসবই যে লোক দেখানোর জন্য তা স্পষ্ট। কারণ আফগানভূমে গণতন্ত্র ফেরার আর কোনও আশা নেই তা স্পষ্ট। মহিলাদের গুলি করে হত্যা করা ও ব্যাংক, স্কুল ও অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের বের করে দেওয়ার মতো ঘটনার খবর আসতে শুরু করেছে।

Advertisement

এহেন পরিস্থিতিতে তালিবানের অন্যতম নেতা ওয়াহিদুল্লা হাশিমিকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে আফগানিস্তানের শাসনভার হতে নিতে পারে ‘শুরা’ বা ধর্মীয় নেতাদের পরিষদ। আর ওই পরিষদের প্রধান হতে পারে তালিবানের সুপ্রিম লিডার হায়বাতোল্লা আখুনজাদা। ফলে সব পক্ষকে নিয়ে সরকার গঠনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালিবান, তা ধাপ্পা বই কিছু নয় বলেই মত বিশ্লেষকদের। তালেব নেতা হাশিমির কথায়, “আফগানিস্তানে কোন ধরনের রাজনীতি না শাসন হবে তা নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না। কারণ এটা স্পষ্ট যে যা হবে তা শরিয়ত আইন মেনেই হবে। এখানে আলোচনার কোনও প্রয়োজন নেই।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘না পালালে মেরে ফেলত, শীঘ্রই আফগানিস্তানে ফিরব’, প্রথম প্রতিক্রিয়া পলাতক Ashraf Ghani’র]

উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তালিবানের শাসনকে মান্যতা দেওয়া নিয়ে বিভক্ত বিশ্ব। পাকিস্তান, রাশিয়া, চিন ও ইরানের মতো দেশগুলির স্বীকৃতি শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। কারণ আমেরিকাকে কোণঠাসা করতে তালিবানের সঙ্গে বিগত সাত বছর ধরে আলোচনা চালাচ্ছে মস্কো ও বেজিং। সেই চেষ্টা এবার ফলপ্রসূ হয়েছে। একইভাবে আফগানভূমে ভারতের প্রভাব খর্ব করতে তালিবানই ইসলামাবাদের প্রধান অস্ত্র। বাকি রইল ইউরোপের দেশগুলি ও আমেরিকা। তা এই মুহূর্তে তাদের স্বীকৃতি না পেলেও খুব একটা প্রভাব পড়বে না তালিবদের উপর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ