সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জানা গিয়েছিল, মঙ্গলবার আবু ধাবিতে ফাঁসি দেওয়া হবে উত্তরপ্রদেশের শাহজাদিকে। কিন্তু আপাতত স্বস্তি। এখনই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে না ভারতীয় যুবতীর। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত সরকার রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে। তাই বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করার যে কথা শোনা যাচ্ছিল তা ভিত্তিহীন বলেই জানানো হয়েছে।
গত রবিবার শোনা যায় শাহজাদি নাকি বাড়িতে ফোন করে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। মৃত্যুদণ্ডের আগে শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী আবু ধাবির জেল কর্তৃপক্ষই তাঁকে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু এবার জানা গেল, এখনই ফাঁসি হচ্ছে না তাঁর।
২০২০ সালে সোশাল মিডিয়ায় আগরার যুবক উজেরের সঙ্গে আলাপ হয় উত্তরপ্রদেশের মুলগি গ্রামের বাসিন্দা শাহজাদির। ছোটবেলায় এক দুর্ঘটনায় মুখ ও শরীরের বেশ কিছুটা অংশ পুড়ে গিয়েছিল তাঁর। উজের তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেয়, সে শাহজাদিকে বিয়ে করবে। এবং যথাযথ চিকিৎসা করাবে তাঁর। শেষপর্যন্ত তার সঙ্গেই ঘর ছাড়েন শাহজাদি। কিন্তু বিয়ের পর তাঁকে আগ্রায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেয় তাঁর প্রেমিক। সেটা ২০২১ সাল। যে দম্পতির কাছে তাঁকে বিক্রি করা হয়েছিল, তাদের সঙ্গে আবু ধাবি চলে যান শাহজাদি। সেখানে তাঁদের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন শাহজাদি। তাঁদের সন্তানের দেখভাল করতেন।
এভাবেই মরুদেশে কোনও রকমেবছর ৩৩-এর শাহজাদির জীবন কাটছিল। কিন্তু একদিন তাঁর জীবনে চরম বিপদ নেমে আসে। হঠাৎই মৃত্যু হয় ওই দম্পতির চার মাসের শিশুর। যার দায় গিয়ে পড়ে শাহজাদির জীবনে। সন্তানের মৃত্যুর জন্য তাঁকে কাঠগড়ায় তোলে ওই দম্পতি। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত করে আবু ধাবির পুলিশ গ্রেপ্তার করে শাহজাদিকে। ফাঁসির সাজা দেয় আদালত। শাহজাদি দাবি করেন, চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছিল। যদিও আদালত তা মানেনি। এই মুহূর্তে মরুদেশের ওয়াথবা জেলে বন্দি রয়েছেন শাহজাদি। আপাতত স্থগিত তাঁর মৃত্যুদণ্ড। শেষপর্যন্ত মোদি সরকার তাঁকে মুক্ত করতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.