Advertisement
Advertisement

Breaking News

পাকিস্তান

হিন্দুদের উপর চলছে চরম অত্যাচার, পাকিস্তানের নিন্দা করল রাষ্ট্রসংঘ

রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে অভিযোগ উঠছে চিনের বিরুদ্ধেও।

Pakistan, China face flak at UN for minority persecution
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 24, 2019 10:57 am
  • Updated:August 24, 2019 10:57 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর ‘অত্যাচার’ নিয়ে অতীতে বেশ কয়েকবার সরব হয়েছে পাকিস্তান। ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর দরদ দেখানো পাকিস্তানের সরকারি নীতি। কিন্তু নিজের দেশেই সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভারত থেকে যাওয়া মুসলমানদের মোহাজির নাম দিয়ে কীভাবে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রাখা হয়েছে এবং আহমদিয়া ও শিয়া মুসলমানদের উপর পাকিস্তানে কী সাংঘাতিক অত্যাচার করা হচ্ছে গত কয়েক দশক ধরে তা এবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল রাষ্ট্রসংঘ।

[আরও পড়ুন: সাংসদের সন্তানকে দুধ খাওয়াচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের স্পিকার, উচ্ছ্বসিত নেটিজেনরা]

Advertisement

শুক্রবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দপ্তরে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে নিন্দা করা হল পাকিস্তানেরই। কড়া নিন্দা করা হয়েছে চিনেরও। বিশ্ব জুড়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে পাকিস্তান ও চিনের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

Advertisement

চিনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমরা এবং তিব্বতে বৌদ্ধরা যেভাবে বছরের পর বছর ধরে লাগাতার অত্যাচার, মানসিক যন্ত্রণা, কঠোর নজরদারির নামে শোষণ ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন তার কড়া নিন্দা করেছেন আমেরিকা, ব্রিটেন ও কানাডার প্রতিনিধিরা। একইসঙ্গে পাকিস্তানেরও নিন্দা করা হয়েছে।

এর আগে একাধিকবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু হিন্দু ও খ্রিস্টানদের ও পরে ধারাবাহিক নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। একবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংখ্যালঘু নিপীড়নের অভিযোগে পাকিস্তানের অনুদান বন্ধ করে দেবে বলে হুমকি দিয়েছিল। অভিযোগ, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুরা চাকরি পান না, রেশন পান না, প্রকাশ্যে দুর্ব্যবহারের শিকার হন। তাঁদের ব্যাংক থেকে ঋণ দেওয়া হয় না। আরও নানাভাবে তাঁরা বৈষম্যের শিকার হন।

চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেদেশের উত্তর-পশ্চিমে উইঘুর প্রদেশে সংখ্যালঘু মুসলিমরা নিয়মিত সরকারি দমনপীড়নের শিকার হচ্ছেন। উইঘুরদের মধ্যে যাঁরা চিনের কমিউনিস্ট সরকারের বিরোধী তাঁদের এক ধরনের বন্দি শিবিরে আটকে রাখা হয়। চিন অবশ্য বলেছে, বন্দি শিবির বলে কিছু নেই। যেগুলিকে বন্দি শিবির বলা হচ্ছে, সেখানে আসলে কারিগরি শিক্ষা দেওয়া হয়। অর্থাৎ সেগুলি ভোকেশনাল ট্রেনিং ক্যাম্প। একইসঙ্গে সেখানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও শিক্ষা দেওয়া হয়। তবে এখন ওই সব ক্যাম্পে বিশেষ কেউ নেই। যদিও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলির কাছে আসা তথ্য, প্রমাণ এবং ডিটেনশন ক্যাম্পগুলি থেকে ফাঁস হওয়া ছবি সেকথা বলছে না।

কূটনৈতিক মহলের মতে, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে ভারতকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অপদস্থ করার চেষ্টা জারি রেখেছে চিন ও পাকিস্তান। এই অবস্থায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার প্রশ্নে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চেই চাপে পড়ে গেল দুই অভিন্নহৃদয় বন্ধু চিন ও পাকিস্তান।

[আরও পড়ুন: অবাক কাণ্ড! বেড়া টপকে মার্কিন নৌসেনার ঘাঁটিতে ঢুকে পড়ল ঘড়িয়াল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ