Advertisement
Advertisement

হাতিয়ার রাহুল-ওমরের মন্তব্য, রাষ্ট্রসংঘে ভারতকে প্যাঁচে ফেলতে তৎপর পাকিস্তান

রাষ্ট্রসংঘে পেশ করা ১১৫ পাতার ডজিয়েরে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যকে হাতিয়ার করেছে পাকিস্তান৷

Rahul Gandhi's Kashmir remarks find mention in Pakistan's UN dossier
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 10, 2019 6:53 pm
  • Updated:September 10, 2019 6:53 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনে ভারতকে বেকায়দায় তৎপর পাকিস্তান৷ হাতিয়ার করল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার বক্তব্যকে৷ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক এই মঞ্চে ১১৫ পাতার একটি ডজিয়ের পেশ করেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। আর সেখানেই উল্লেখ রয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির বিষয়ে রাহুল গান্ধী ও ওমর আবদুল্লার সরকার বিরোধী মন্তব্য৷

[ আরও পড়ুন: চলন্ত বিমানের সিটজুড়ে ঘুমোচ্ছে স্ত্রী, ৬ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রইলেন স্বামী ]

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার বিলুপ্তি ঘটলে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‘গত ২০ দিন ধরে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের গণতন্ত্র হরণ করা হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে৷ বিরোধী নেতা ও সংবাদ মাধ্যমে সেখানে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ করা হচ্ছে৷ যখন সেখানকার মানুষ শ্রীনগরে যেতে চাইছেন, তখ বাহিনীকে দিয়ে তাঁদের বাধা দেওয়া হচ্ছে৷’’ একই ভাবে মোদি সরকারের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা৷ কাশ্মীরের থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নিয়ে কেন্দ্র গণতন্ত্রের হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনিও৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, ৭২ বছর পর স্বীকার করল পাকিস্তান! ]

রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর বিষয়ক অভিযোগ পত্রে রাহুল ও ওমরের এই বক্তব্যকেই হাতিয়ার করেছে পাকিস্তান৷ যাকে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে৷ আগেই এই বিষয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ৷ কোনও বক্তব্য পেশের আগে রাহুল গান্ধীর ভেবে চিন্তে কথা বলা উচিত, জানান তিনি৷ অন্যদিকে, মঙ্গলবারই কাশ্মীর ইস্যুতে বড় জয় পেয়েছে ভারত। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অধিবেশনের ফাঁকে ভারতকে কাশ্মীর ইস্যুতে কোণঠাসা করতে চেয়ে বিপত্তি বাঁধিয়ে ফেললেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। তিনি বলেন, “ভারত সরকারের দাবি, কাশ্মীরে সবকিছু স্বাভাবিক আছে। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে না। জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে কেন ওখানে আপনাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না? বিদেশি সংবামাধ্যম, বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে কেন কাশ্মীরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না? আসলে, কাশ্মীরে মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। সরকার একবার নিষেধাজ্ঞা তুলে দিলেই আপনারা জানতে পারবেন ভারতের কাশ্মীর রাজ্যের(ইন্ডিয়ান স্টেট অব কাশ্মীর) আসল পরিস্থিতি কী?”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ