Advertisement
Advertisement

Breaking News

চিন

‘মতান্তর যেন দ্বন্দ্বে পরিণত না হয়’, কাশ্মীর ইস্যুতে চিনকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের

নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনার পরিবেশে চিন সফরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর৷

S Jaishankar's visit Beijing to talk on India and China cooperation
Published by: Tanujit Das
  • Posted:August 12, 2019 9:33 pm
  • Updated:August 12, 2019 9:40 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়৷ এবং এতে কারও হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না৷ উপত্যকা থেকে ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা অবলুপ্তির ফলে ভারত-পাক সীমান্তে যে উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়েছে, তারই মধ্যে আরও এক প্রতিবেশী চিনকে এমনটাই বার্তা দিল নয়াদিল্লি৷ স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হল, কোনও বিষয়ে মতান্তর থাকলে আলোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু সেই মতান্তর যেন দ্বন্দ্বে পরিণত না হয়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে৷ কারণ, এতে উভয়ের কৌশলগত সম্পর্ক সুখকর হবে না।

[ আরও পড়ুন: এপস্টেইনের মৃত্যুতে হাত রয়েছে বিল ক্লিনটনের, বিস্ফোরক টুইট ট্রাম্পের]

Advertisement

জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে হতে চলা দ্বিতীয় বৈঠকের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে সোমবার তিনদিনের চিন সফরে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর৷ চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং কিসানের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি৷ ভারত-চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন তাঁরা৷ সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভারত-চিনের সম্পর্ক যে একটা বিশেষ স্থান পেয়েছে, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে উভয়ের মধ্যে। একদিকে নিয়ন্ত্রণ রেখায় যখন চরম উত্তেজনা চলছে, তখন বিদেশমন্ত্রীর এই চিন সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ কারণ, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির পরই বেজিংয়ে গিয়েছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি৷ খুব কঠোর ভাবে না বললেও, এরপর নয়াদিল্লির এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল বেজিং৷ ভারত-পাক দু’দেশকেই শান্তি বজায় রাখার আরজি চালিয়েছিল চিন৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: কাশ্মীর সীমান্তে জড়ো হচ্ছে পাকিস্তানের সেনা, দাবি পাক সাংবাদিকের ]

কূটনৈতিক মহলের মতে, এই পরিস্থিতিতে তিন দিনের চিন সফরে গিয়ে, বেজিংয়ের ভুল ভাঙাবারই চেষ্টা করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর৷ কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রের জাল বিছানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান, তা ভেস্তে দিতে চান পোড়খাওয়া কূটনীতিক৷ প্রসঙ্গত, এক সময়ে চিনে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন জয়শংকর। তাঁর তত্ত্বাবধানেই দু’দেশের সম্পর্ক নয়া উচ্চতায় পৌঁছায়। নিজ কৌশলে একাই ডোকলাম ইস্যু সামলে দিয়েছিলেন জয়শংকর৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ