Advertisement
Advertisement

Breaking News

তেল

পারস্য উপসাগরে চড়ছে পারদ, এবার সৌদি পাম্প স্টেশনে ড্রোন হামলা  

হামলার পর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পাইপলাইন বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি আরব।

Saudi Arab shuts main oil pipeline after Houthi drone attack
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 15, 2019 12:14 pm
  • Updated:May 15, 2019 12:18 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও জটিল হল পারস্য উপসাগরের পরিস্থিতি। এবার সৌদি আরবের দুটি তেল পাম্পিং স্টেশনে ড্রোন হামলা চালাল হাউতি বিদ্রোহীরা। হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সামান্য বলে দাবি করেছে রিয়াধ। যদিও হামলার পর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পাইপলাইন বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি আরব।

[আরও পড়ুন: শুল্ক-সংঘাতের তাপ এড়িয়ে জুনে জিনপিংয়ের সঙ্গে বসছেন ট্রাম্প]

Advertisement

দু’টি সৌদি তেলবাহী জাহাজে হামলার পরই মঙ্গলবার লোহিত সাগর সংলগ্ন সৌদির তেলসমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের দু’টি তেল পাম্পিং স্টেশনে ড্রোন হামলা চালায় হাউতি বিদ্রোহীরা। উগ্রপন্থী সংগঠনটির মুখপাত্র মহম্মদ আবদুস সালাম টুইট করে জানান, “ইয়েমেনি সৌদি আগ্রাসন ও নিরীহ নগরিকদের হত্যার প্রতিশোধ নিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।”

Advertisement

এদিকে সৌদি আরবের অভিযোগ, ইয়েমেনের শিয়া প্রধান হাউতি বিদ্রোহীদের অস্ত্র যোগাচ্ছে ইরান। তেহরানের উসকানিতেই সৌদি আরবের তেল রপ্তানির ব্যবসাকে নিশানা করেছে তারা। উল্লেখ্য, আমেরিকার সঙ্গে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইরান।বাস্তবে তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে হরমুজ প্রণালী দিয়ে তেলবাহী জাহাজ পাঠাতে পারবে না সৌদি আরব। সেক্ষেত্রে বিকল্প পথে তেল পাঠাতে ১২০০ কিলোমিটার লম্বা পাইপলাইনটিই রিয়াধের একমাত্র ভরসা। 

প্রসঙ্গত, পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে সংঘাতের দিকে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে ইরান ও আমেরিকা। ইতিমধ্যে পারস্য উপসাগরে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ও বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে ওয়াশিংটন। ইরানকে কার্যত হুমকি একটি টুইটও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার পালটা দিয়েছে তেহরান। এহেন পরিস্থিতিতে হাউতিদের হামলা পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে তুলেছে। গত সোমবার, আমিরশাহীর ফুজাইরা শহরের কাছে পারস্য উপসাগরের উপর সৌদি আরবের দু’টি জাহাজে হামলা হয়। এর জেরে তেল ট্যাঙ্কার বোঝাই জাহাজ দু’টির বড় অংশ ভেঙে তুবড়ে যায়। জাহাজ ফুটো হয়েছে, কিন্তু অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম জলে মেশেনি। তারপরই তেলবোঝাই ট্যাঙ্কার দু’টি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরই সৌদি আরব নাম না করে শত্রু দেশ ইরানের দিকে ইঙ্গিত করে।                 

[আরও পড়ুন: জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা ফের শুরু করল সুইডেন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ