সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই প্রথম পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করলেন কোনও হিন্দু প্রার্থী। পাকিস্তান পিপলস পার্টির এই নেতার নাম মহেশ মালানি। ২০০২-এ পাকিস্তানে সংখ্যালঘুরা ভোটাধিকার ও ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার পাওয়ার পর এই প্রথম কোনও অ-মুসলিম ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচন জিতলেন। নির্বাচনী লড়াইয়ে পাকিস্তানে প্রথম হিন্দু প্রার্থী হিসেবে জয় পেয়ে বেজায় খুশি মহেশ কুমার মালানি। পাকিস্তান পিপলস পার্টির এই নেতা দক্ষিণ সিন্ধ প্রদেশের থারপারকার-২ নির্বাচনী আসনে ১৪ জনকে হারিয়েছেন।
[পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন ইমরান, টুইটে অভিনন্দন প্রথম স্ত্রীর]
পাকিস্তানে অ-মুসলিম প্রার্থীদের ভোটে লড়ার এবং ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছিল ১৬ বছর আগে। ২০০২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ সংবিধান সংশোধন করার পরই এই অধিকার পান অ-মুসলিমরা। এরপর মহেশ কুমার মালানিই ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সিটে প্রথম অ-মুসলিম প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করলেন। তিনি ১ লাখ ৬ হাজার ৬৩০ ভোট পান। দ্বিতীয় হয়েছেন গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের আরবাব জাকাউল্লা। তিনি ৮৭ হাজার ২৫১টি ভোট পেয়েছেন।
[পাক নির্বাচন কালিমালিপ্ত, ভোটে হেরে সেনা ও ইমরানের বিরুদ্ধে সরব নওয়াজ]
মহেশবাবু হিন্দু রাজস্থানি পুষ্কর ব্রাহ্মণ। তিনি পাকিস্তানেরই বাসিন্দা। সে দেশের বিধানসভায় ২০০৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পিপিপি-র মনোনয়নে সংরক্ষিত আসন পান মালানি। ২০১৩ সালে সিন্ধ অ্যাসেম্বলির থারপারকার-৩ জেনেরাল আসনে জেতেন। এই জয়ের ফলে প্রভিনসিয়াল অ্যাসেম্বলির প্রথম অ-মুসলিম সদস্য হন তিনি।
[প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ইমরান খান, জোট গড়ে আসনে বসা কেবল সময়ের অপেক্ষা]
সিন্ধ অ্যাসেম্বলির খাদ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারপার্সন ছিলেন মালানি। এছাড়াও তিনি আগের সরকারের আমলে স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল অ্যান্ড পার্লামেন্টারি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস, স্ট্যান্ডিং কমিটি অন মাইনরিটিজ অ্যাফেয়ার্স, স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এনার্জি ও স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড মাস ট্রানজিটেরও সদস্য ছিলেন তিনি।
[তছনছ নাগা জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটি, বড়সড় অভিযানে নামল মায়ানমার সেনা]
পাকিস্তানি সেনেটে প্রথম হিন্দু মহিলা হিসাবে মনোনিত হন পিপিপি-র কৃষ্ণা কুমারী। চলতি বছর মার্চ মাসে থারপারকার থেকে জেতেন তিনি। সিন্ধ থেকে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনে মনোনিত হয়েছিলেন কৃষ্ণা কুমারী।