Advertisement
Advertisement

Breaking News

মেহুল চোকসি

রক্ষাকবচ তুলে নিল অ্যান্টিগা, মেহুল চোকসিকে দেশে ফেরাচ্ছে ভারত

মোদি সরকারের বড়সড় সাফল্য।

Trouble for Mehul Choksi as Antiguan Govt decides to revoke citizenship
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:June 25, 2019 12:40 pm
  • Updated:June 25, 2019 1:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেহুল চোকসির প্রত্যর্পণে রাজি অ্যান্টিগা। চোকসির উপর থেকে নাগরিকত্বের রক্ষাকবচ তুলে নিল সেদেশের সরকার। একে মোদি সরকারের বড়সড় সাফল্য বলাই যায়। গীতাঞ্জলি জেমসের কর্ণধার চোকসি আপাতত ‘বিজনেসম্যান সিটিজেন’ হিসেবে অ্যান্টিগাতেই রয়েছেন। কয়েকদিন আগে অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব পাওয়ার চোকসির আবেদন নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। এক সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, আবেদনে আর্থিক দুর্নীতি ও তাঁর বিরুদ্ধে থাকা মামলার কথা চেপে গিয়েছিলেন মেহুল। অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আইনি প্রক্রিয়ার পর চোকসিকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

[ আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচনেও হল না শেষরক্ষা, ইস্তানবুল খুইয়ে বিপাকে এরদোগান ]

Advertisement

গত বছরের গোড়ার দিকে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৩ হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি এবং তাঁর ভাইপো নীরব মোদির নাম। ভুয়ো নথিপত্র দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন দুই ব্যবসায়ী। শোধ না করায় বাড়তেই থাকে ঋণের বোঝা। শেষপর্যন্ত যা বড়সড় আর্থিক কেলেঙ্কারির হয়ে ওঠে। ঋণখেলাপিতে অভিযুক্ত লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়ার সঙ্গে একই সারিতে ঠাঁই হয় নীরব মোদি, মেহুল চোকসির। এই পরিস্থিতিতে দুজনেই ভিন দেশে পালিয়ে আশ্রয় নেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসার নাম করে মেহুল চোকসি ঘাঁটি গাড়েন ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ অ্যান্টিগাতে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ক্ষমতাবদলের পর কি যুদ্ধের পথে ব্রিটেন? হান্টের মন্তব্যে তুঙ্গে জল্পনা ]

২০১৮ সালে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব পান মেহুল। যেহেতু অ্যান্টিগার সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই তাই আইনের হাত এড়াতেই এই পথ নেন গীতাঞ্জলি জেমসের কর্ণধার। যদিও পলাতক চোকসিকে ফিরিয়ে আনার জন্য কূটনৈতিক স্তরে অ্যান্টিগা সরকারের উপর চাপ বাড়ায় ভারত। ব্রিটেনের একটি দৈনিক সংবাদপত্রের প্রকাশিত খবরে জানা যায়, ১৩টি দেশের একটি ছোট গোষ্ঠী বিশ্বজুড়ে আইডেন্টিটি ম্যানেজমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলেছে। নিজেদের দেশের পাসপোর্টকে সরকারি বন্ডের মতো একটি আন্তর্জাতিক সম্পত্তিতে পরিণত করে খোলা বাজারে বিক্রি করছে তারা। আর সেগুলির ফায়দা নিচ্ছেন প্রথম সারির অর্থনীতির দেশগুলিতে ভিসা ছাড়া প্রবেশ করতে পারেন না, এমন দেশগুলির ধনী ব্যক্তিরা। স্বাভাবিকভাবেই এদের মধ্যে মানবাধিকার ভঙ্গকারী, আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ও অন্যান্য অপরাধীদের সংখ্যা সর্বাধিক। এই ১৩টি দেশের মধ্যে অন্যতম অ্যান্টিগা। তাদের এই নীতির ফলে সন্ত্রাসবাদীদের সুবিধা হচ্ছে বলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। তবে আজ অ্যান্টিগা সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে বিতর্কের অবসান হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ