Advertisement
Advertisement
জাপানে আটকে থাকা জাহাজে মৃত দুই

ক্রমশ বাড়ছে করোনার দাপট, জাপানে আটকে থাকা জাহাজে মৃত দুই

আরও এক ভারতীয় যাত্রীর দেহে মিলল করোনার জীবাণু।

Two passenger of Diamond Princes Ship died at Yokahama in Japan
Published by: Paramita Paul
  • Posted:February 20, 2020 2:53 pm
  • Updated:March 12, 2020 1:06 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আতঙ্কের গ্রাসে জাপান। এবার করোনায় মৃত্যু হল ইয়োকোহামায় আটকে থাকা জাহাজের দুই যাত্রী। দুজনই জাপানের বাসিন্দা। বয়স ৮০ বছরের বেশি। এই ঘটনায় জাপান সরকারের দিকে আঙুল উঠতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, এই জাহাজের যাত্রীদের ১৪দিনের করেনটাইনে রাখা হয়েছিল। এরপর তাঁরা জাহাজ থেরে বাড়ি ফিরতে শুরু করে। তারপরই এই দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়। মনে করা হচ্ছে, ১৪ দিন পরেই এদের দেহে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। যদিও চিকিৎসকদের দাবি, আগে থেকেই একাধিক রোগে ভুগছিলেন তাঁরা।এদিকে আরও এক ভারতীয় যাত্রীর দেহে এই রোগের জীবাণু মিলেছে। এ নিয়ে অষ্টম ভারতীয়ের শরীরে এই রোগের জীবাণু মিলল।

ড্রাগনের দেশে ক্রমশ গভীর ছাপ ফেলছে ছাপ ফেলছে মারণ ভাইরাস করোনা। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। নতুন এই জীবাণুর দাপটে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দু’হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত প্রায় ৭৪ হাজার। গত প্রায় দু’মাস ধরে চিনের ইউহানের হাসপাতালগুলোতে জরুরি পরিষেবা দিয়ে চলেছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও এড়ানো যাচ্ছেন না মারণ ভাইরাসের কামড়।

Advertisement

[আরও পড়ুন : পাকিস্তানে হিন্দু নাবালিকাকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে, বাতিল করল আদালত]

এদিকে চিনের বাইরে করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইয়োকাহামায়। এই জাহাজে প্রায় ৬১৪ জন যাত্রী ও কর্মীদের দেহে মিলেছে করোনা ভাইরাস। তবে ১৪ দিনের করেনটাইনে থাকার পর ৪৪৩জন যাত্রীকে বাড়ি ফেরানো হয়েছে। তাদের দেহে সংক্রমণ মেলেনি। তিনদিনের মধ্যে গোটা জাহাজ খালি করে দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের বাসে চাপিয়ে বিমানবন্দরের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য, ভারতের দাবড়ানি খেয়ে পাকিস্তান ছুটলেন ব্রিটিশ সাংসদ]

কিন্তু এরপরই জাপান সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আম জনতার প্রশ্ন, আমেরিকা বা ইুরোপের দেশগুলিতে ১৪ দিনের পরও বেশকিছুদিন করেনটাইনে রাখা হচ্ছে যাত্রীদের। যাতে ১৪ দিন পরও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে কি না দেখা যায়। জাপানে তা করা হচ্ছে না। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ