সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদ্রোহীরা ঢুকে পড়েছে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে। খবর পেয়েই দ্রুত শহর ছেড়েছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। তিনি বিমানে কোনও অজানা গন্তব্যে চলে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তিনি কি মরিয়া হয়ে ‘মরণকামড়’ দিতে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করবেন? এমনই আশঙ্কা করছে আমেরিকা। কেননা আগেও তিনি এই অস্ত্র প্রয়োগ করেছিলেন। যা শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
যেখানে রাসায়নিক অস্ত্র মজুত রয়েছে সেদিকে নজর রেখেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। তাঁদের আশঙ্কা, ‘শেষ অস্ত্র’ হিসেবে এই অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন আসাদ। ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরবর্তী সময়ে বার বার এই অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে অন্যতম ২০১৩ সালের ঘৌটা রাসায়নিক হামলা। এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় তিনশো নাগরিক। বছর চারেক পরে ২০১৭ সালে খান শেখুন রাসায়নিক হামলায় একশোর বেশি মানুষ মারা যান। এমন নজির আরও রয়েছে। সবক্ষেত্রেই সারিন গ্যাস প্রয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। রাষ্ট্রসংঘের বহু ‘তথ্য যাচাই’ মিশন এই বিষয়ে ‘অকাট্য প্রমাণ’ দাখিলের দাবিও করেছে।
জানা যাচ্ছে, রবিবার সকালে দামাস্কাসে ঢুকে পড়েছে বিদ্রোহীরা। এই অবস্থায় আসাদ রাজধানী ছেড়েছেন। বিমানে কোনও গোপন গন্তব্যের উদ্দেশে তিনি পাড়ি দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। কোথায় গিয়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি। তবে যেখানেই যান, সেখান থেকেই বিদ্রোহীদের দমন করতে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন এমন আশঙ্কা আমেরিকার।
প্রসঙ্গত, শনিবারই বিদ্রোহীরা জানিয়ে দেয় তারা দামাস্কাস ঘেরাও করার চেষ্টা করছে। কিন্তু পালটা লড়াই জারি রেখেছিল সেনা। ইতিমধ্যেই প্রাণহানি ঘটেছে শতাধিক মানুষের। প্রাণভয়ে সিরিয়া ছেড়ে পালাচ্ছেন নাগরিকরা। বিদ্রোহীদের হামলায় উত্তর সিরিয়ায় ঘরছাড়া প্রায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.