Advertisement
Advertisement
Uttar Pradesh

২৪ ঘণ্টা পরই ফাঁসি আবু ধাবিতে, শেষবার বাবাকে ফোন করে ভেঙে পড়লেন উত্তরপ্রদেশের শাহজাদি

মেয়েকে বাঁচাতে সরকারের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার।

Uttar Pradesh Woman's Final Message To Family 24 Hours Before Execution In UAE
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:February 17, 2025 3:59 pm
  • Updated:February 17, 2025 4:16 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বাস করে ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের শাহজাদি। কিন্তু তাঁকে এক দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেয় সেই মানুষটিই! এরপর নিয়তি শাহজাদিকে টেনে নিয়ে যায় আবু ধাবিতে। যেখানে আর ২৪ ঘণ্টা পরই তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হবে। মৃত্যুদণ্ডের আগে শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী আবু ধাবির জেল কর্তৃপক্ষ বাড়ির সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিয়েছে শাহজাদিকে। আর গতকালই বাবাকে ফোন করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। মেয়েকে বাঁচাতে সরকারের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার। কিন্তু শাহজাদির হাতে সময় খুবই কম। তাই মেয়েকে বাঁচানোর কোনও আশা দেখেছে না পরিবার।

জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মুলগি গ্রামে থাকতেন শাহজাদি। ছোটবেলায় এক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। রান্নাঘরে কাজ করতে মুখ ও শরীরের বেশ কিছুটা অংশ পুড়ে যায়। সেনিয়েই চলছিল লড়াই। কিন্তু ২০২০ সালে সোশাল মিডিয়ায় আগরার যুবক উজেরের সঙ্গে আলাপ হয় শাহজাদির। প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর সেই সম্পর্ক গড়ায় ভালোবাসায়। উজের শাহজাদিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, বিয়ে করে তাঁকে যথাযথ চিকিৎসা করাবেন। সব রকমভাবে ভালো রাখবেন। সুখের সংসার হবে দুজনের। ভালোবাসার মানুষকে বাড়ি ছাড়েন শাহজাদি। কিন্তু অভিযোগ, ২০২১ সালে আগ্রায় পালিয়ে যাওয়ার পরই তাঁকে নিজের আসল রূপ দেখায় উজের। নিজের আত্মীয় ফৈজ ও নাদিয়ার কাছে তাঁকে বিক্রি করে দেয় সে। এরপর ওই দম্পতি শাহজাদিকে নিয়ে চলে যায় আবু ধাবি। সেখানেই ফৈজ ও নাদিয়ার বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন শাহজাদি। তাঁদের সন্তানের দেখভাল করতেন।

Advertisement

এভাবেই মরুদেশে কোনও রকমেবছর ৩৩-এর শাহজাদির জীবন কাটছিল। কিন্তু একদিন তাঁর জীবনে চরম বিপদ নেমে আসে। হঠাৎই মৃত্যু হয় ওই দম্পতির চার মাসের শিশুর। যার দায় গিয়ে পড়ে শাহজাদির জীবনে। সন্তানের মৃত্যুর জন্য তাঁকে কাঠগড়ায় তোলে ওই দম্পতি। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত করে আবু ধাবির পুলিশ গ্রেপ্তার করে শাহজাদিকে। ফাঁসির সাজা দেয় আদালত। এরপর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে আবু ধাবির আদালতে শাহজাদি দাবি করেন, চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছিল। যদিও আদালত তা মানেনি। এই মুহূর্তে মরুদেশের ওয়াথবা জেলে বন্দি রয়েছেন শাহজাদি। মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ কার্যকর হতেই জেল কর্তৃপক্ষ তাঁর শেষ ইচ্ছার কথা জানতে চায়। তখনই শেষবারের মতো পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চান শাহজাদি। গতকাল রবিবারই তিনি ফোন করেন বাড়িতে।

মেয়ের এমন করুণ পরিণতির কথা জানার পরই জেলাশাসকের কাছে মেয়েকে বাঁচানোর আবেদন করেন শাহজাদির বাবা শাবির খান। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাষ্ট্রপতির কাছেও আবেদন জানিয়েছেন। অসহায় কণ্ঠে তিনি জানান, “মেয়ে হাউ হাউ করে কেঁদে শুধু একটা কথাই বলছে। আর কখনও দেখা হবে না, কথা হবে না তোমাদের সঙ্গে।” মেয়েকে বাঁচাতে এখন দিশেহারা অবস্থা বৃদ্ধ শাবিরের। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মেয়েকে ফাঁসিকাঠে ঝোলানো হবে। তাই এই কম সময় কীভাবে কী করবেন ভেবেই পাচ্ছেন না তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement