নন্দন দত্ত, সিউড়ি: প্রথমে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাকরি দেওয়ার টোপ। নাবালিকা সেই টোপ গিলতেই সুযোগ বুঝে তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত যুবক! এখানেই শেষ নয়! ধর্ষণের পর তার ভিডিও দেখিয়ে ওই নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেলেরও চেষ্টা করে সে৷ প্রথম প্রথম নাবালিকা কিছু টাকা জোগাড় করে দিতে পারলেও আর টাকা দিতে না পারায় গোপন ক্যামেরায় তোলা ওই সব আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ওই যুবকের বিরুদ্ধে। যার জেরে সামাজিক সুরক্ষার অভাব বোধ করতে শুরু করেছে আক্রান্ত নাবালিকা। বীরভূমের মুরারই থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে রবিবার অভিযোগ দায়ের করেছে নাবালিকা। তারপর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত যুবক লাল্টু শেখ।
বীরভূমের মুরারই থানার কাশিমনগর হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী নাবালিকাটি। তার বাড়ি পাশের গ্রামেই। স্কুলে যাতায়াতের সূত্রে কাশিমনগরের যুবক লাল্টু শেখের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপরেই ওই নাবালিকার ফোন নম্বর জোগাড় করে মাঝে মধ্যেই ফোন করত লাল্টু। ফোনেই ওই নাবালিকাকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে মুরারইয়ে নিয়ে যায়। সেখানে একটি লজের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। দুজনের সেই আপত্তিকর ছবি মোবাইলবন্দি করে রাখে লাল্টু। এরপর সেই ছবি দেখয়ে মাঝে মধ্যেই তাকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এমনকি শেষের দিকে মোটা টাকাও দাবি করা হয় বলে নাবালিকার অভিযোগ। কিন্তু সে চাপের কাছে নতিস্বীকার না করায় তার আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল সাইটে ছেড়ে দেওয়ায় হয়।
সেই ছবি মোবাইলে মোবাইলে ঘুরতে ঘুরতে নাবালিকার নজরে আসে। এরপরেই সামাজিকভাবে একঘরে হয়ে পড়ে সে। রবিবার মাকে সঙ্গে নিয়ে মুরারই থানায় অভিযোগ জানায় ওই নাবালিকা। এদিকে থানায় অভিযোগ জানানোর খবর পেয়ে ওই যুবক নাবালিকার সমস্ত ছবি সোশ্যাল সাইটে ছেড়ে দেয়। নাবালিকা জানায়, তাকে চাকরি দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত একাধিকবার ধর্ষণ করে। পড়ে জানা যায় সে পেশায় অটোচালক। এরপর তার সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করায় ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে লাল্টু। একদিন স্কুলে যাওয়ার পথে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। আক্রান্তের বক্তব্য, ‘কিন্তু আমি ওর কথামতো বার বার লজে যেতে না চাওয়ায় এবং টাকা দিতে না পারায় প্রথমে একটি ছবি সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ছেড়ে দেয়। সেই ছবি নিকট আত্মীয়রা দেখে বাড়িতে জানায়।’ এরপরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.