সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলের অত্যাধিক চাপেই আত্মহত্যা করেছে দশম শ্রেণির পডুয়া তূনীর। এই অভিযোগ তুলে বুধবার ফের বউবাজারের সেন্ট যোসেফ স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাল অভিভাবক, পড়ুয়া ও প্রাক্তনীরা। এদিন ফের প্রিন্সিপালকে সরানোর দাবিতে সরব হন তাঁরা।
গত শুক্রবার বিকেলে সেন্ট্রালে দমদমগামী মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দেয় সেন্ট যোসেফের দশম শ্রেণির ছাত্র তূনীর বন্দ্যোপাধ্যায়। মেট্রোর লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখে শুরু হয় উদ্ধার কাজ। তূনীরকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শুক্রবার রাতেই মৃত্যু হয় ওই পড়ুয়ার। কিন্তু কী কারণে দশম শ্রেণির পড়ুয়া এই ভয়ংকর পথ বেছে নিল, তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না কেউ। পরিবারের তরফে প্রথম থেকেই জানানো হয়েছিল যে, পড়াশোনার চাপ আর পরীক্ষার আতঙ্কে ভুগছিল তূনীর। তদন্ত শুরুর পরই তদন্তকারীদের হাতে আসে তূনীরের লেখা একটি সুইসাইড নোট। সেই চিঠিতেই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, স্কুলের পড়াশোনার চাপ আর নিতে পারছিল না তূনীর। সেই কারণেই এই চরম সিদ্ধান্ত। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সোমবার প্রিন্সিপালকে সরানোর দাবিতে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখায় অভিভাবক ও পড়ুয়ারা। দীর্ঘক্ষণ পর স্কুলের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস মিললে বিক্ষোভ তুলে নেন অভিভাবকরা।
এরপর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও কোনও কাজ হয়নি। সেই কারণেই বুধবার ফের প্রিন্সিপালকে সরানোর দাবিতে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবক, পড়ুয়া ও প্রাক্তনীরা। স্কুলের সামনে থেকে মোমবাতি মিছিলে পা মেলান তাঁরা। অভিভাবকদের এই বিক্ষোভে সামিল হন শিক্ষকদের একাংশও। প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরাও। দ্রুতই পদক্ষেপ না নেওয়া হলে এই আন্দোলন চলবে বলেই জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। সহপাঠীদের কথায়, মিশুকে স্বভাবের ছিল তূনীর। পরীক্ষা নিয়ে খুব ভয় পাচ্ছিল। ফলাফল কী হবে তা নিয়ে খুব চিন্তা করত। কিন্তু সহপাঠী যে এমন সিদ্ধান্ত নেবে ভাবতে পারেনি তূনীরের বন্ধুরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.