BREAKING NEWS

১২ আশ্বিন  ১৪৩০  শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসে ২০৫টি শিশুহত্যা, পরিসংখ্যানে উদ্বেগ বাংলাদেশে

Published by: Subhamay Mandal |    Posted: August 7, 2019 8:58 pm|    Updated: August 7, 2019 8:59 pm

205 child murdered in first six month of 2019 in Bangladesh

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ২০৫টি শিশুহত্যা হয়েছে। বিশেষ করে শিশুরা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। এরপর তা ঢাকা দিতে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের (বিএসএএফ) বছরওয়াড়ি পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ১০টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে হিসাব রাখে সংগঠনটি। বিএসএএফ শিশু অধিকার বিষয়ে কাজ করে এমন ২৬৯টি বেসরকারি সংস্থা বা এনজিওগুলোর জাতীয় নেটওয়ার্ক। বিএসএএফের গত সাড়ে চার বছরের পরিসংখ্যান বলছে, শিশুহত্যা বাড়ছে।

২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে মোট ২০৫টি শিশুহত্যা হয়েছে। ২০১৮ সালে সে সংখ্যা ছিল ৪১৮, এর আগের বছর ছিল ৩৩৯। আগেও শিশুহত্যার একই প্রবণতা দেখা গেছে। দেশ বড় ধরনের বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা বলেন, সহিংসতার ধরন দিন দিন ভয়ংকর হচ্ছে। মানুষ বেপরোয়া হচ্ছে, কোনও অপরাধ করতেই দ্বিধা করছে না। অপরাধ কমাতে শাস্তি দ্রুত ও দৃশ্যমান করতে হবে। চলতি বছরের হত্যার শিকার শিশুদের মধ্যে ৮০ শতাংশ শিশুর বয়সের হিসাব পাওয়া গিয়েছে। এতে দেখা যায়, এদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ শিশুর বয়স ১২ বছরের কম। অর্থাৎ, এই বয়সী মোট ৯৩টি শিশুকে আর ১৩ থেকে ১৮ বছরের ৭২টি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।

বিএসএএফের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা জেলায়-২৪ শিশু। এরপর সিলেটে ১২, ময়মনসিংহে ১০ এবং বরিশাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে ৭টি করে শিশু খুন হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাল্টি-সেক্টরাল কার্যক্রম চলছে। কিন্তু শিশু নির্যাতন বন্ধে এই কার্যক্রমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই কার্যক্রমের পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, সার্বিক কার্যক্রমের অংশ হিসাবে প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, উঠান বৈঠকের মাধ্যমে শিশু নির্যাতন রোধে সচেতন করা হয়। তবে সরাসরি শিশুদের সুরক্ষার বিষয়ে সে রকম কর্মসূচি নেই।

প্রসঙ্গত, রাজধানী ঢাকার ওয়ারীর সাত বছরের শিশু সামিয়া আক্তার সায়মাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হারুন অর রশীদ আদালতকে জানায়, ধরা পড়া ঠেকাতে ধর্ষণ শেষে শিশুটিকে হত্যা করে। গত সাড়ে চার বছরের পরিসংখ্যান বলছে, শিশুহত্যা ক্রমশ বাড়ছে।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে