সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা ছাত্র আন্দোলনর বদল এনেছিল গোটা দেশে। গত আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছিল বাংলাদেশে। এখন সেখানে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই কয়েকমাসে পদ্মা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটই বদলেছে শুধু, উন্নয়নের নিরিখে প্রাপ্তি শূন্যই। শিক্ষাক্ষেত্রে সংরক্ষণের বিরোধিতায় জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনের রেশ কাটতে না কাটতে এবার ছাত্র সংঘর্ষে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার রাতভর পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় সোমবার বাধ্য হয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত সাত কলেজের ক্লাস, পরীক্ষা সবই স্থগিত করে দেওয়া হল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় থাকা সাতটি কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া, আসন সংখ্যা সংক্রান্ত সমস্যার কথা জানাতে পড়ুয়াদের একটি দল সহ-উপাচার্যের কাছে নালিশ গিয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর থেকে অশান্তির সূত্রপাত। পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাঁদের কথা না শুনেই সহ-উপাচার্য নিজের ঘর থেকে বের করে দেন পড়ুয়াদের। জানান যে তিনি সাত কলেজের ব্যাপারে কিছু জানেন না, কোনও পদক্ষেপ নিতেও পারবেন না। এতে ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা প্রকাশ্যে তাঁর ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন। তাতে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ঢাকার নীলখেত, পলাশির মতো এলাকার রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে পড়ে ছাত্র বিক্ষোভ। তা দমনে পুলিশ লাঠিচার্জের পাশাপাশি সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ।
এর প্রতিবাদে পড়ুয়ারা সোমবার সকাল থেকে নিজের নিজের কলেজের সামনের রাস্তা অবরোধে শামিল হন। দুপুর ১২টা নাগাদ সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেছেন। তা পূরণের জন্য ৪ ঘণ্টা সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন প্রতিবাদীরা। আজকের মতো সাত কলেজের সমস্ত ক্লাস, পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.