Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাখাইন ভাষায় পোস্টার ছাপিয়ে বিতর্কে আওয়ামি লিগ প্রার্থী

রোহিঙ্গা আবেগকে কাজে লাগাতেই এই পোস্টার?

Awami League candidate in controversy
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:December 15, 2018 5:42 pm
  • Updated:December 15, 2018 5:42 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: নির্বাচনী প্রচারে রাখাইন ভাষায় পোস্টার ছাপিয়ে বিতর্কে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনে আওয়ামি লিগ প্রার্থী সাইমুম সরোয়ার কমল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এরই মধ্যে পোস্টারটি ভাইরাল হয়েছে। কক্সবাজার-৩ আসনে রামু, কক্সবাজার পুরসভা ও চৌফলদন্ডী এলাকায় রাখাইন ভাষাভাষী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষের বসবাস। এসব এলাকায় রাখাইন ভাষাভাষীর ভোটার সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। তাদের ভোটগুলো টানতে বাংলার পাশাপাশি তাদের মৌখিক ভাষা ব্যবহার করে। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, নির্বাচনী আইনে অন্য ভাষায় পোস্টার করা না করার ওপর নিষেধাজ্ঞা নেই। তাই এ ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

[ফের বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ISI যোগের অভিযোগ]

এদিকে, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ এক প্রস্তাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যকলাপকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। প্রস্তাবটি প্রতিনিধি পরিষদে ৩৯৪-১ ভোটে গৃহীত হয়। প্রস্তাবে প্রতিনিধি পরিষদ রোহিঙ্গা গণহত্যা প্রশ্নে সুস্পষ্ট অবস্থান গ্রহণের জন্য মার্কিন সরকার, বিশেষ করে বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পেওর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন সরকার রোহিঙ্গাদের প্রতি মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নৃশংস ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করলেও তারা এখনও পর্যন্ত একে গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করতে রাজি হয়নি। কংগ্রেসে প্রায় সর্বসম্মতভাবে গৃহীত প্রস্তাবটিকে ট্রাম্প প্রশাসনের এই অবস্থানের প্রতি ধিক্কার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

Advertisement

[বাংলাদেশ নির্বাচনে জামাত যোগ, ৪৭ জনের প্রার্থীপদে আপত্তি আমেরিকার]

Advertisement

ক্যালিফোর্নিয়ার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান এড রয়েস প্রস্তাবটি সমর্থন করে বলেন, মায়ানমারে যা ঘটেছে তা গণহত্যা। এই গণহত্যার স্বীকৃতি দেওয়া মার্কিন সরকারের একটি নৈতিক দায়িত্ব। স্বীকৃতি প্রদানে অপারগতার কারণে যারা গণহত্যার জন্য দায়ী, তাদের বিচারের কাঠগড়ায় আনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিনিধি পরিষদের প্রস্তাবটি বহুলাংশে প্রতীকী। সিনেটে একই প্রস্তাব সমর্থিত না হলে তা আইনে পরিণত হবে না। সিনেটের রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে এ রকম একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে সে দেশে গণতন্ত্রের পথে যে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে, তা বিপদগ্রস্ত হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ