Advertisement
Advertisement

বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসছেন হাসিনা, অনেক পিছিয়ে বিএনপি

ক্ষমতা দখলের পথে আওয়ামি লিগ৷

 Bangladesh Awami League to win 11th National Election with huge margin
Published by: Tanujit Das
  • Posted:December 30, 2018 9:11 pm
  • Updated:December 30, 2018 9:54 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবারও বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে চলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা তথা আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। ফলাফলের ট্রেন্ড দেখে হাসিনার চতুর্থবার ক্ষমতায় আসা প্রায় নিশ্চিত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ ২৯৯টি আসনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১১৫টি আসনে জয় পেয়েছে হাসিনার আওয়ামি লিগ৷ তাঁরা এগিয়ে রয়েছেন আরও ১২৮টি আসনে৷ গোপালগঞ্জ-৩ আসনে ইতিমধ্যেই বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন শেখ হাসিনা৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫৩৯টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এস.এম জিলানী পেয়েছেন মাত্র ১২৩টি ভোট।

[নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ, বেলা গড়াতেই বাড়ছে সংঘর্ষের ঘটনা]

Advertisement

জানা গিয়েছে, জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন আওয়ামি লিগের প্রার্থী তথা ক্রিকেট তারকা মাশরাফি মোর্তাজাও৷ বিরোধী বিএনপি এখনও পর্যন্ত দু’টি আসনে জয়ী হয়েছে৷ এছাড়া জাতীয় পার্টি এগিয়ে রয়েছে আরও একটি আসনে৷ অন্যান্যরা জয় পেয়েছে পাঁচটি আসনে৷ জয় নিশ্চিত হলেও সারাদেশের দলীয় নেতা-কর্মীদের এখনই বিজয় মিছিল বা সমাবেশ করতে নিষেধ করেছেন আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারের নির্বাচনী প্রচারে ভারতবিরোধী বক্তব্য পেশ করা থেকে বিরত ছিল বিএনপি। উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় পর্যবেক্ষক দলও। ভারতের পর্যবেক্ষক দলের প্রধান গৌতম ঘোষ বলেন, ‘‘স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ ভোট দিয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের নির্বাচনের মধ্যে আমি একই দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি।’’

Advertisement

[বাংলাদেশে একই দিনে ভোটগ্রহণ ও গণনা, বেনজির পদক্ষেপ ইসি-র ]

রবিবার বিকেল চারটেয় শেষ হয় ভোটগ্রহণ৷ এরপর থেকেই শুরু হয় ভোট গণনাপর্ব৷ ভোট বাক্স খুলতেই ঝড় উঠেছে আওয়ামি লিগের পক্ষে৷ এই ফলাফলকে প্রত্যাশিত জয় বলেই আখ্যা দিচ্ছে আওয়ামি লিগ শিবির৷ কিন্তু ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন। পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলেছেন তিনি৷ বাংলাদেশের রবিবারের নির্বাচনে সংঘর্ষের আশঙ্কা ছিল এবং সেই মতোই মজবুত করা হয়েছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ রবিবার ভোটগ্রহণ শুরু হতেই বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয় আওয়ামি লিগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে৷ রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ১৬ জনের৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ